- Home
- India News
- ব়্যাভেন ড্রোন, থেকে লয়টারিং গোলা - গালওয়ানের পর কীভাবে দ্রুত শক্তি বাড়ালো ভারতীয় সেনা
ব়্যাভেন ড্রোন, থেকে লয়টারিং গোলা - গালওয়ানের পর কীভাবে দ্রুত শক্তি বাড়ালো ভারতীয় সেনা
ভারতের পদাতিক বাহিনী বিশ্বের অন্যতম সেরা। সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। সম্প্রতি চিনের সঙ্গে পূর্ব লাদাখের সীমান্ত বিবাদের সময়ে ফের একবার ভারতীয় পদাতিক বাহিনীর পরাক্রম দেখা গিয়েছে। তবে চিনের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক উত্তেজনা পদাতিক বাহিনীকে আরও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে। তাই শুরু হয়েছে বাহিনীর আধুনিকীকরণ। পুরোনো অচল অস্ত্র পাল্টে বিপুল সংখ্যক লাইট মেশিনগান, কার্বাইন, অ্যাসল্ট রাইফেল, ড্রোন, গোলা কেনা হচ্ছে। কোনওক্ষেত্রে আগেই বরাত দেওয়া হয়েছিল, কোনও কোনওটি কেনা হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে। দেখে নেওয়া যাক নতুন কী কী সামরিক সরঞ্জামে সজ্জিত হতে চলেছে ভারতীয় পদাতিক বাহিনী -
- FB
- TW
- Linkdin
ব়্যাভেন - দূর-নিয়ন্ত্রিত মানবহীন ড্রোন
সাউথ ব্লক সূত্রে খবর ভারতীয় সেনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২০০ টি ব়্যাভেন ড্রোন কিনছে, যার পোশাকি নাম আরকিউ-১১। মানববিহীন এই ড্রোন ৫০০ ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে একটানা ১০ কিলোমিটার অবধি যেতে পারে। পদাতিক বাহিনীর মূল অভিযানের আগে শত্রুপক্ষের বাহিনীর অবস্থানের আগাম খবরাখবর দিয়ে কৌশল তৈরিতে সহায়তা করবে।
এসআইজি সয়ের এসআইজি-৭১৬ পেট্রল জি২ - অ্যাসল্ট রাইফেল
রবিবারই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত পদাতিক বাহিনীর জন্য ৭২,০০০ এসআইজি সয়ের অ্যাসল্ট রাইফেল কিনছে। ২০১০ সালে বাজারে আসা এই অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল দ্রুত রপ্তানির জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। চিনের সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরাই এই রাইফেলগুলি ব্যবহার করবেন। এই আধা-স্বয়ংক্রিয় মাল্টি-ক্যালিবার রাইফেল তৈরি করা হয়েছে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্যই। একক গুলি, একসঙ্গে তিনটি গুলি, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মোড - বিভিন্নভাবে এই বন্দুক ব্যবহার করা যায়।
স্পাইক ফায়ারফ্লাই লয়টারিং অ্যামুনেশন
এই ইসরাইলি 'ফায়ারফ্লাই' বিভাগের গোলাগুলি এক কিলোমিটারের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শত্রু সেনাদের উপর নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারে। ফায়ারফুলি গোলাগুলির সর্বশেষ সংস্করণ হল এই 'লয়টারিং' গোলা। নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে এই গোলাগুলি প্রয়োজনমতো দিক বদল করতে পারে। এখানেই শেষ নয়, যদি নিক্ষেপের দেখা যায় শত্রুরা এই গোলার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে, সেই ক্ষেত্রে নিরাপদে একে ফিরিয়েও নেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ, ধনুক থেকে বান বেরিয়ে গেলে ফেরানো যায় না, এই তত্ত্ব ভুল প্রমাণ করেছে এই গোলা।
স্পাইক মার্ক থ্রি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল
চিনা বাহিনীর সঙ্গে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে অচলাবস্থা চলার মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে ইসরাইলি স্পাইক মার্ক থ্রি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল কিনেছে ভারত। এই ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের ডাকনাম ট্যাঙ্ক কিলার। ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও ট্যাঙ্ককে উড়িয়ে দিতে পারে এই মিসাইল। ভারত ১৬টি লঞ্চার-সহ মোট ২১০টি এই রকম ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে।
বায়ুসেনার হাতে রাফাল
শুধু পদাতিক বাহিনীই যে এই আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে তা নয়। তার পাশাপাশি চলতি মাসেই ভারতীয় বায়ুসেনা প্যারিস থেকে পাঁচটি রাফাল মাল্টি-রোলার ফাইটার জেট বিমান পেতে চলেছে। আরও চারটি রাফাল যুদ্ধ বিমান পাবে বায়ুসেনা, তবে সেগুলি আপাতত ফ্রান্সে প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
বাদ যাচ্ছে না নৌবাহিনীও
সেনা, বায়ুসেনার পাশাপাশি নতুন সাজ সরঞ্জাম পাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী-ও। এই বছরের শেষের দিকে তারা তাদের দ্বিতীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম পারমাণবিক সাবমেরিন, আইএনএস অরিঘাট-কে জলে নামাতে প্রস্তুত। তারা জানিয়েছে, লাদাখ সীমান্তে আইএএফ এবং ভারতীয় সেনাই চিনা সেনার মুখোমুখি থাকলেও ভারতীয় নৌবাহিনীকেও আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে চিনা রণতরীর সামলা করতে হয়েছে। বেলুচিস্তানের গদর সমুদ্র বন্দরের আশেপাশে ওই সময় ছয়টি চিনা রণতরী ছিল। তাদের দিকে কড়া নজর রেখেছিল ভারত। এখন অবশ্য ধাপে ধাপে সবকটিই দেশে ফিরে গিয়েছে।