- Home
- India News
- অতিমারির বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ভাবে লড়ছে দেশ, আক্রান্ত ৪৪ লক্ষ ছাড়ানোর পরেও সরকারের স্তুতি শাহের গলায়
অতিমারির বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ভাবে লড়ছে দেশ, আক্রান্ত ৪৪ লক্ষ ছাড়ানোর পরেও সরকারের স্তুতি শাহের গলায়
- FB
- TW
- Linkdin
পরিস্থতি ক্রমেই বেগতিক। করোনা মহামারিতে এশিয়ার সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ভারত। শুধু এশিয়া নয় বিশ্বের দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত দেশ এখন ভারত। মোট আক্রান্তের সংখ্যা আমেরিকার পরেই।
দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবার ৪৪ লক্ষের গণ্ডি পার করে গেল। দৈনিক আক্রান্তের সব রেকর্ড তছনছ করে এদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭৩৫ জন। যা বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণে সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর ফলে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৬৪ তে।
দৈনিক আক্রান্ত যখন প্রায় লক্ষের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে তখন করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমে কপালের ভাজকে আরও শক্ত করছে। গত কয়েকদিন হল দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ১,১০০ উপরে থাকছে। সেই চিত্রের বদল হয়নি বৃহস্পতিবারও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১,১৭২ জনের। ফলে দেশে কোভিড ১৯ রোগে মৃতের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি মতে পরিসংখ্যান হল ৭৫ হাজার ৬২ জন। মোট মৃতের সংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে বিশ্বে তৃতীয় ভারত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট থেকে বিশ্বে দৈনিক সবচেয়ে বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হচ্ছে ভারতে। মোট রোগীর সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরই ভারতের অবস্থান।
তবে দেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মহামারির বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ভাহে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এই অবস্থায় ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত দেশবাসীকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে থাকতে বলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার শাহ বলেন, "করোনাভাইরাস আমাদের জন্য একটা অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সুপরিকল্পিতভাবে এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি এবং গোটা বিশ্ব আমাদের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।"
গান্ধীনগরের সাংসদ অমিত শাহ নিজের লোকসভা এলাকায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ১৩৪৪ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এদিন। সেখানেই এই বক্তব্য রাখেন তিনি।
সম্প্রতি শাহ নিজেও করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন। গত ১৪ আগস্ট তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতাল থেকে বাড়িও ফেরেন তিনি। তবে তার কিছুদিনের মধ্যেইফের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। ১৮ অগস্ট গভীর রাতে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অমিত শাহকে। কোভিড-১৯ পরবর্তী শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য তাঁর চিকিত্সা চলে দিল্লির এইমস হাসপাতালে। ৩১ আগস্ট তাঁকে সেখান থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।