- Home
- India News
- লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার মাঝেও ভরসা সেই চিনা ব্যাঙ্ক, ৯ হাজার কোটি ঋণ নেওয়ার কথা জানালেন খোদ মোদীর মন্ত্রী
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার মাঝেও ভরসা সেই চিনা ব্যাঙ্ক, ৯ হাজার কোটি ঋণ নেওয়ার কথা জানালেন খোদ মোদীর মন্ত্রী
- FB
- TW
- Linkdin
গত কয়েকমাস হল ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। চিনকে শিক্ষা দিতে আত্মনির্ভর ভারতের বুলি আওড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংসদে এক লিখিত বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারত-চিন বাণিজ্য ঘাটতি ৫৪৮ কোটি টাকা কমেছে।
সাম্রাজ্য লোলুপ বেজিংকে শিক্ষা দিতে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক উঠেছে দেশ জুড়ে। টিকটক, পাবজি সহ একের পর এক চিনা অ্যাপ ব্যান করে 'ডিজিটাল স্ট্রাইক'-এর দাবি করছে সরকার।
ঠিক এই পরিস্থিতিতেই সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর খবর। চিনে অবস্থিত এশিয়ান ইনফ্রস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ভারত সরকার।
দুই বিজেপি সাংসদের প্রশ্নের জবাবে অনুরাগ ঠাকুর সংসদে জানান,”ভারত সরকার পরিকাঠামো খাতে উন্নয়নের জন্য চিনে অবস্থিত এআইআইবি’র সঙ্গে মোট দুটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রায় ৩ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকার প্রথম চুক্তিটি সই করা হয় গত ৮ মে। যেটা কিনা করোনা মোকাবিলায় এবং চিকিৎসাখাতে ব্যয় করা হয়েছে।”
অনুরাগ জানান, দ্বিতীয় ঋণ চুক্তিটি সই করা হয়েছে ১৯ জুন। সেটি প্রায় ৫ হাজার ৫১৪ কোটি টাকার চুক্তি। অর্থাৎ দ্বিতীয় ঋণটি ভারত সরকার ১৫ জুন সীমান্তের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা অভিযোগ করছে, চিনে অবস্থিত ব্যাঙ্কটির থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়েছে বলেই ভারত সরকার চিনের বিরুদ্ধে নরম।
চিনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত মেটার কোনও সম্ভাবনাই এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না। রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এদিন বলেন, অরুণাচল প্রদেশের প্রায় ৯০,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন।
লাদাখ থেকে অরুণাচল-একের পর এক জায়গায় চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত বাঁধছে ভারতের। অথচ এই পরিস্থিতিতেও চিনা ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে প্রশ্ন উঠছে।
যদিও সরকারের দাবি, এশিয়ান ইনফ্রস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক মূলত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এশিয়া প্যাসিফিক এলাকায় বিভিন্ন দেশের আর্থিক এবং সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নে ঋণ দিয়ে থাকে এই ব্যাঙ্ক। ভারত নিজেও এই ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
যদিও এশিয়ান ইনফ্রস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের সদর দফতর বেজিংয়ে। আর ব্যাঙ্কটির নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবেই চিনের হাতে।
গত বছর এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারত যত কোটি ডলার মূল্যের পণ্য চিনকে রফতানি করেছিল তার থেকে ২,১৪২ কোটি ডলার বেশি মূল্যের চিনা পণ্য আমদানি করেছিল। চলতি বছর আমদানি-রফতানির ওই ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ১,৬৫৫ কোটি মার্কিন ডলার।