- Home
- India News
- ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও চিনের প্রভাব খাটানোর চক্রান্ত ফাঁস, বেজিংকে আটকাতে কড়াকড়ি ভিসা নীতিতে
ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও চিনের প্রভাব খাটানোর চক্রান্ত ফাঁস, বেজিংকে আটকাতে কড়াকড়ি ভিসা নীতিতে
- FB
- TW
- Linkdin
লাদাখ সীমান্তে বেড়েই চলেছে উত্তেজনার পারদ। এরই মাঝে এবার ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে চিনের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলি। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই ভিসা আইন কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই চিনা নাগরিকদের একটা তালিকা তৈরি করেছেন যারা সন্দেহের আওতায় রয়েছে।
চিনের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে গভীর ভাবে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সরাসরি কিছু জানানো হয়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোদী প্রশাসনের এক শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক জানান, চিনা ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিল্প বিশেষজ্ঞ কিংবা আইনি উপদেষ্টা— এমন কোনও ব্যক্তিকে ভিসা দেওয়ার আগে তাঁর বিষয়ে ভাল করে যাচাই করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রককে।
চিনা সংস্থাগুলির বেশকিছু সন্দেহজনক কাজকর্ম ইতিমধ্যে নজরে এসেছে গোয়েন্দাদের। আর তার পরেই দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে ভিসা নীতি নিয়ে কড়াকড়ির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। গোয়েন্দাদের দাবি ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব খাটাচ্ছে চিনা। আর এতেই কেন্দ্রের নজরদারি আরও তীক্ষ্ণ হয়েছে।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছে, ভারতে নানা রকম কর্মসূচির মাধ্যমে প্রভাব খাটানোর পরিকল্পনা করেছে চিন। এই নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করেছেন গোয়েন্দারা। তাই এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোনও সংস্থা বা ব্যক্তিকে ভিসা দেওয়ার আগে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপরে বেজিংয়ের প্রভাব-বিস্তারও গভীর ভাবে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। চিনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কর্মকাণ্ডও একেবারে কমিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আগে থাকতে স্বাক্ষরিত অন্তত ৫৪টি সমঝোতাপত্র নতুন করে পর্যালোচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইআইটি, বিএইচইউ, জেএনইউ-এর মতো প্রতিষ্ঠানও।
অভিযোগ, কর্পোরেট সেক্টর থেকে শিক্ষাক্ষেত্র, রাজনীতি, বিভিন্ন পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। সেই অনুপ্রবেশ রুখতেই এই ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিষয়েও একই চিন্তাভাবনা চলছে।
চিনের উপরে মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কাটাতেই গত কয়েক সপ্তাহে এ ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে চিন যে প্রভাব বিস্তার করছে, তা-ও অনেকাংশে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে গত মাসে টিকটক, উইচ্যাট-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর কয়েকদিন আগেই আরও ৪৭টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ টেলিকম মন্ত্রকের তরফে সুরক্ষা বিষয়ে পর্যালোচনার পরই এই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
জানা যাচ্ছে, জাতীয় সুরক্ষা ও ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য মোট ২৭৫টি অ্যাপ কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে রয়েছে৷ পাবজির মতো জনপ্রিয় অ্যাপও এই তালিকায় রয়েছে৷ এই অ্যাপগুলির উপর শীঘ্রই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে খবর৷