- Home
- India News
- অশোকস্তম্ভের উন্মোচন প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে, জানুন সংসদভবনের ছাদে বসানো জাতীয় প্রতীকের বিশেষত্ব
অশোকস্তম্ভের উন্মোচন প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে, জানুন সংসদভবনের ছাদে বসানো জাতীয় প্রতীকের বিশেষত্ব
- FB
- TW
- Linkdin
সংসদ ভবনের ছাদে জাতীয় প্রতীক অশোকস্তম্ভটি বসানো হচ্ছে সেটির উত্তরা সাড়ে ছয় মিটার। প্রতীকটির ওজন ১৬ হাজার কেটি। ভারতীয় কারিগরকরা এটি তৈরি করেছে। পুরো মূর্তিটি তৈরি হয়েছে ব্রোঞ্জ দিয়ে।
উপাদান, কারুকার্যের দৃষ্টিকোন থেকে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারতের কোথাও এটির কোনও অনুরূপ চিত্রি নেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১০০ বেশি কারিগর অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই অশোকস্তম্ভটি তৈরি করেছেন। এটু বসাতে সময় লেগেছে ৬ মাসেরও বেশি।
এই বিশালাকার অশোকস্তম্ভটি বসানো কিছুটা কঠিন ছিল কারণ মাটি থেকে প্কায় ৩২ মিটির উপরে এটি বসানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্তার মতে অশোকস্তম্ভের সঠিক ইনস্টলেশন আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলে। এটি দেশের মানুষকে আগামী দিনে যথেষ্ট পরিমাণে আকর্ষণ করবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক হল অশোকের সারনাথ সিংহ রাজধানী থেকে একটি রূপান্তর যা সারনাথ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। লায়ন ক্যাপিটালের চারটি সিংহ একটি বৃত্তাকার অ্যাবাকাসে পিছনে পিছনে মাউন্ট করা আছে। অ্যাবাকাসের ফ্রিজটি একটি হাতি, একটি ছুটে চলা ঘোড়া, একটি ষাঁড় এবং ধর্ম চক্রের হস্তক্ষেপে পৃথক করা একটি সিংহের উচ্চ ত্রাণে ভাস্কর্য দিয়ে শোভিত।লায়ন ক্যাপিটালের প্রোফাইল ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে গৃহীত রয়েছে। সংসদভবনের ছাদে যে প্রতীকটি বসানো হয়েছে সেটি সারনাথের জাদুঘরের নকশা থেকেই নেওয়া হয়েছে।
একটি কম্পিউটার গ্রাফিক স্কেচ তৈরি করা হয়েছিল এবং তার উপর ভিত্তি করে একটি মাটির মডেল তৈরি করা হয়েছিল একবার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত হলে FPR মডেলটি তৈরি করা হয়েছিল। তারপর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মোম প্রক্রিয়ার সঙ্গে মোমের ছাঁচ এবং ব্রোঞ্জ ঢালাই করা হয়েছে। ৯ মাস সময় লেগেছে এই মূর্তিটি তৈরি করতে।
সোমবার জাতীয় প্রতীকের আবরণ উন্মোচনের পরি পুজোপাঠে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর পাশেই ছিলেব সংসদের স্পিকার ওম বিড়লা, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অশোকস্তম্ভের উন্মোচনের পর কথা বলেন নতুন সংসদভবনের নির্মাণ শ্রমিতদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সুবিধে অসুবিধের কথা জানতে চান। পাশাপাশি তিনি নির্মাণকাজের অগ্রগতি সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন।
দিল্লিতে নতুন এই সংসদভবন তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ১২৫৯ কোটি টাকা। রাষ্ট্রপতিভবন থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দীরে চারতলা সংসদভবন তৈরি হবে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এই সংসদভবনের ভিত্তপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। তারপর থেকেই দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। ২০২৩ সালে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।