লালফৌজদের ওপর আর ভরসা নেই ভারতীয় জওয়ানদের, চিনা সেনার পাল্টা অবস্থান কুগ্রাং নদী তীরে
- FB
- TW
- Linkdin
পিপিলস লিবারেশন আর্মির জওয়ানরা রীতিমত অবস্থান করে রয়েছে পূর্ব লবাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকা প্যাংগং লেক এলাকায়। চিনা জওয়ানরা রীতিমত সক্রিয় রয়েছে গোগরা হটস্প্রিংএ। এই দুটি এলাকায় ইতিমধ্যেই অপটিক্যাল ফাইবার কেবল লাগানো হয়েছে।
চিনা সেনার এই পদক্ষেপের পরিবর্তে পিছিয়ে থাকতে নারাজ ভারতীয় সেনা বাহিনী। সেনা সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই কুগ্রাং নদীর সীমানায় প্রভাব বিস্তার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিন যতক্ষণ না পূর্ব অবস্থায় ফিরে যায় ততক্ষণ এই অবস্থান বজায় থাকবে।
লাদাখ ও দখলিকৃত আকসাই চিনের ওপর চিনা সেনার বিমানগুলির তৎপরতাও রীতিমত চোখে পড়ার মত বাড়ে চলেছে। সেনা সূত্রে খবর পূর্ব লাদাখের ১৫৯৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রীতিমত অবস্থান করে রয়েছে চিনা সেনা। বেশ কয়েকটি এলাকায় সেনা সরিয়ে নেওয়া বা প্রভাব কমানোর কোনও লক্ষণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
চিনা সেনার এই মনোভাবকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হিসেবেই দেখা হচ্চে বলেও সেনা সূত্রে খবর। আর চিনা সেনার এই রণনীতি বানচাল করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সুরক্ষা পরিকল্পনাকারীরা একেবারে পরিষ্কার যে লাদাখ সেক্টরে চিনা সেনার তৎপরতায় সক্রিয় ভূমিকা ছিল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর। আর সেই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল তিব্বত আর জিনজিয়াং সামরিক বাহিনীও।
চিনা কূটনৈতিকরা সীমান্ত উত্তাপ কমাতে প্যাংগং-এর একটি পুরনো সামরিক ঘাঁটি থেকে ভারতীয় সেনার অপসারণের দাবি জানিয়েছিল। একই সঙ্গে কুগ্রাং রিজলাইনের উচ্চতম এলাকা থেকেও নেমে আসতে বলেছিল। কিন্তু সেই দাবি মানতে রাজি হয়নি ভারত।
চিনের এই সম্প্রসারণবাদ নীতি রুখে দিতে তৈরি রয়েছে ভারতও। শীতকালেও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে সীমান্ত সেনা মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেইমত রসদ ও সরঞ্জামও জোগাড় করা হচ্ছে।
পূর্ব লাদাখের সীমান্ত উত্তাপ কমাতে ইতিমধ্যেই ভারত ও চিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার সামরিক ও কূটনৈতিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বার হয়নি সমাধান সূত্র।
স্বাধীনতা দিবসের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রতিবেশী চিন ও পাকিস্তানকে সাবধান করে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন ভারত আগ্রাসন প্রতিহত করতে সর্বদা প্রস্তুত।
চিনা ভারত সীমান্ত উত্তাপ বাড়ায় প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যে। আর তাতে রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেজিংএর অর্থনীতি। ইতিমধ্যেই চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে দেশের বহু মানুষ। নিরাপত্তার কারণে টিকটক সহ একাধিক অ্যাপও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।