শীতের শুরুতেই লাদাখে ধাক্কা খেল ড্রাগনরা, লাল ফৌজদের থেকে এগিয়ে ভারতীয় জওয়ানরা
শীতের লাদাখে ভারতের পাশাশপাশি চিনা সেনাও অবস্থান শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে। আগামী তিন থেকে চার মাস লাদাখের আবহাওয়া আরও খারাপ হতে পারে বলেও ধরে নিয়ে ভারতীয় বাহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে। সূত্রের খবর খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই লাদাখে অবস্থানের তৈরি তৈরি হয়েছে চিনও। কিন্তু ভারতের তুলনায় তারা বেশ কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে। কারণ প্রবল ঠান্ডার কারণে চিন লাদাখের ফ্রন্টলাইনের সৈন্যদের প্রতিদিনই সরিয়ে নিচ্ছে। তবে ভারতীরা স্থায়ীভাবে ঘাঁটে তৈরি করে অবস্থান করেছে।
| Published : Dec 01 2020, 05:31 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অবস্থান করছে ভারত ও চিনা সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রাখতে একের পর এক সামরিক ও কূট নৈতিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি।
প্রকৃতির নিয়ম মেনেই শীত এগেছে লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যেই বরফে ঢেকেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। সঙ্গে প্রবল হিমেল হাওয়া। কিন্তু প্রবল এই ঠান্ডা উপেক্ষা করেই সীমান্ত চিনাদের তুলনায় অনেকটাই ভালো কাজ করছে ভারতীয় জওয়ানরা।
শীর্ষ স্থানীয় এক কর্তার কাথায় শীতের কারণে সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রতিদিনই ফ্রন্ট লাইনের সেনাদের সরিয়ে নিচ্ছে চিন। আর সেই জায়গায় মোতায়েন করছে অন্য সেনাদের। তুলনায় ভারতীয় জওয়ানরা টানা অবস্থান করছে সীমান্তে।
প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ তীরে গত তিন মাস ধরে ভারত ও চিনা সেনা মুখোমুখি অবস্থান করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিজেদের জমি ছাড়েনি ভারতীয় জওয়ানরা। কৌশলগত উচ্চ স্থানগুলি নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছে।
সেনা সূত্রের খবর পূর্ব লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের সুবিধেক কতগুলি কারণ রয়েছে। কারণ ভারতীয়রা দীর্ঘ দিন ধরে প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করে সিয়াচেন হিমবাহ রক্ষা করে আসছে। লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও চলতি বছরের মত বেশি পরিমাণে না হলেও ভারতীয় বাহিনী মোতায়েন থাকত।
সেনা সূত্রের খবর আমেরিকানদের থেকে পাওয়া শীতের বিশেষ পোষাক সেনাবাহিনীকে সাহায্য করছে। তাছাড়াও চিনা আগ্রাসনের হাত থেকে শীতের লাদাখ রক্ষা করার জন্য ভারতীয় জওয়ানদের জন্য বিশেষ সুবিধেযুক্ত অস্থায়ী সেনা ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে।
অন্যদিকে শীতের লাদাখে সেনা মোতায়ের রাখার জন্য অনেক আগে থেকেই প্রয়োজনীয় রসদ, সরঞ্জাম মজুত করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর চলতি বছর শীতকালে অতিরিক্ত ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন থাকবে লাদাখের বিভিন্ন এলাকায়।