হাড় হিম করা ভুত বাংলো, উত্তরপ্রদেশের মেরঠে দিনের বেলাতেও গা ছমছম!
- FB
- TW
- Linkdin
মল রোড থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেরঠের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, সন্ধ্যার নিস্তব্ধতা তো দূরের কথা, দিনের বেলাতেও কেউ এখানে যাওয়ার সাহস করতে পারে না। সাহস করে বাড়ির সামনে গেলেও বাংলোর ভেতরে ঢুকলে ভয়ে ঘাম ঝরতে পারে। শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি যে, শত বছরের পুরনো এই বাংলোটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানে কিছু অলৌকিক রহস্যের গন্ধও পাওয়া গেছে। সন্ধ্যার নীরবতা থেকে দূরে, দিনের বেলাতেও এই ভূতের বাংলো দেখলে লোকে ভয় পায়। এই বাংলোটি দেশের প্রথম দশটি ভূতের বাংলোর মধ্যে একটি। এই বাংলোয় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মেরঠ প্রশাসন। তবে, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এই জায়গা পরিদর্শন করা যায়।
মল রোডে মিরাট ক্যান্টনমেন্ট থেকে কিছু দূরে এই বাংলোটি এখন একটি ধ্বংসাবশেষ, যা এখন ‘ভূত বাংলো’ নামেই বেশি পরিচিত। স্বাধীনতার আগে এই বাংলোটি উপ-অঞ্চলের সদর দফতর ছিল। কিন্তু এরপর সাব-এরিয়া সদর দপ্তর চলে যায় সরধন রোডে এবং ধীরে ধীরে এই বাংলোটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ৭০ বছর পর আজ এই বাংলোটি 'ভূত বাংলো' নামে পরিচিতি পাচ্ছে। চারিদিকে নীরবতা। এছাড়াও বাংলোর ভিতরে শুধু মাকড়সার জাল, বাদুড় ও পায়রার ডানা ঝাপটানোর শব্দ। বাংলোর চারপাশে লম্বা লম্বা গাছ, ঝোপঝাড়ও কম নেই। দেয়ালগুলো অনেক জায়গায় ভেঙে গেলেও মেঝে একেবারে শক্ত।
কথিত আছে যে, বহু বছর আগে কিছু যুবক এখানে ঘোরাঘুরি করতে এসেছিল, যারা এখানে কিছু অস্বাভাবিক কার্যকলাপ বুঝতে পেরেছিল, তারপরেই প্রশাসন এই জায়গায় লোকজনের যাওয়া-আসা নিষিদ্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে বাংলোর এক পাশের গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলোর ভেতরে বিভিন্ন ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইট, ওপরে ওঠার সিঁড়ির অবস্থাও খুবই খারাপ। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ইট ভেঙে পা পিছলে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
বাংলোর ভিতরে পায়রা ওড়ার শব্দও হাত-পা ঠাণ্ডা করে দেয়। বাদুড়ের ঝাঁক দিনের বেলাতেও ভয় দেখায়। এমনকি সাপের গর্তেও এখন ভরে গিয়েছে এই ফাঁকা মহলটি।
স্বাধীনতার সময়, ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত, এই বাংলোটি সাব-এরিয়ার হেডকোয়ার্টার ছিল, কিন্তু তারপরে সাব-এরিয়া হেডকোয়ার্টার সরধন রোডে চলে আসে। এরপর থেকেই বাংলোটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। উত্তরপ্রদেশের মেরঠের এই বিখ্যাত ভূত-বাংলোটি দেশের সেরা ১০টি ভুতুড়ে বাড়ির মধ্যে অন্যতম।