'মোদী মনে প্রাণে একজন শিখ', বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা শিখ প্রতিনিধিদের মুখে
২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে দেশের শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার নিজের বাসভবনেই শিখদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। বৈঠকের পরে, শিখ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। মোদীকে "মন থেকে একজন শিখ" হিসেবে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। পঞ্জাব নির্বাচনের শেষ দিনেই শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে এই বৈঠক করেন মোদী।
- FB
- TW
- Linkdin
সামনেই পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচন (Punjab Assembly Election 2022)। ২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তার আগেই দেশের শিখ সম্প্রদায়ের (Prominent Sikhs) বিশিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। শুক্রবার ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গের বাড়িতেই শিখদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (PMO Office) তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে কৃপান (Kirpaan) উপহার দেন শিখ নেতারা।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী। সবার সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তবে পঞ্জাব ভোটের আগে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বল মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বিশিষ্ট শিখদের সেই তালিকায় ছিলেন দিল্লির গুরুদ্বার কমিটির প্রেসিডেন্ট হরমীত সিং কালকা, পদ্মশ্রী বাবা বলবীর সিংজি সিচেওয়াল, যমুনা নগরের সেবাপন্থীর প্রেসিডেন্ট মহন্ত করমজিৎ সিং, বাবা যোগা সিং, অমৃতসরের সন্ত বাবা মেজর সিং ওয়া, মুখী ডেরা বাবা তারা সিং ওয়া, জাঠেদার বাবা সাহেব সিংজি, সুরিন্দর সিং নামধারী দরবার, শিরোমনি অকালি বুধা দলের বাবা জাসা সিং, হরভজন সিং, রণজিৎ সিংজি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য আজ সকালেই সবাই হাজির হন ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে (7 Lok Kalyan Marg) মোদীর বাসভবনে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের সবাইকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সেখানেই সবার জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। সবার সঙ্গে মিলেমিশে খেতে দেখা গিয়েছে মোদীকে।
বৈঠক শেষে মোদীর প্রশংসা করেন শিখ সম্প্রদায়ের সব নেতারা। দিল্লিতে শিখ ফোরামের সভাপতি রবিন্দর সিং আহুজা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মনেপ্রাণে একজন শিখ। শিখ ধর্মগ্রন্থ, গুরু, ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁর গভীর ধারণা রয়েছে। অন্য কোনও প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয়গুলো সম্পর্কে এতটা উপলব্ধি ছিল না।"
মোদীর প্রশংসা শোনা যায় অন্যদের মুখেও। পাতিয়ালায় ইয়ং প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি প্রভলিন সিং বলেন, "মোদীজি শিখদের জন্য যে কাজ করেছেন, স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত কোনও সরকারই তা করতে সাহস পায়নি।" প্রধানমন্ত্রীর এই আতিথেয়তায় যথেষ্ট খুশি সবাই।
এবারের ভোট শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে জোরদার টক্করে নেমেছে বিজেপি, আম-আদমি পার্টি, অকালি দলেরা। এদিকে এবারের ভোটে কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। আর আগে শিখ সম্প্রদায়ের বিশিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। পঞ্জাবের শিখ ভোট টানার জন্যই তিনি এই কৌশল নিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সিং সভা গুরুদ্বার সাহেবের সভাপতি মনজিৎ সিং ভাটিয়া বলেন, "মোদী যেখানেই যান তিনি শিখদের আলিঙ্গন করেন কারণ তিনি জানেন যে শিখরা দেশের জন্য কতটা আত্মত্যাগ করেছে। কর্তারপুর করিডর খোলা একটি ভালো পদক্ষেপ। তিনি যেভাবে দেশকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছেন তা গুরু গোবিন্দ সিং-এর শিক্ষার একটি চিহ্ন।"
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, যেহেতু আর কিছুদিনের মধ্যেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে গদিচ্যুত করার লড়াইতে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সেই লড়াইয়ের আগে শিখ আবেগকে উস্কে দিতেই এই বৈঠকের আয়োজন করেন মোদী।