আগামী বছর থেকে চাঙ্গা হতে পারে দেশের অর্থনীতি, আশাবাদী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
সেপ্টেম্বরও মুদ্রাস্ফিতি একই রকম থাকবে। তবে বছরের শেষ দিকে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি সহজ হবে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবি করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গরর্নর শক্তিকান্ত দাস। আগামী বছর প্রথম থেকেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
- FB
- TW
- Linkdin
দেশের মুদ্রাস্ফীতি ডিসেম্বর মাসেও খুব একটা অনুকূলে যাবে না। মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। তবে পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। দেশের অর্থনীতিকে পুণরুজ্জীবিত করতে উদ্যোগী হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। পাশাপাশি তিনি আরও আরও বলছেন যে, সরবরাহ ব্যবহত করার কারণেই মুদ্রাস্ফীতি।
এপ্রিল থেকে জুন-এই তিন মাস আর্থিক ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত হয়েছিল। তাতে জিডিপি পৌঁছে গিয়েছিল মাইনাস ২৩ শতাংশে। তবে দ্বিতীয় কোয়ার্টার অর্থাৎ পরবর্তী তিন মাসে তা কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের পূর্বাভাস দেশে সার্বিক আর্থিক সংকোচন ৯.৫ শতাংশ থাকবে।
সরকারি ব্যায় আর গ্রামীণ ক্ষেত্রে চাহিদা বিকশিত হয়েছে। ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে উৎপাদন। কৃষি ক্ষেত্রে আর্থিক সক্রিতা দেখা যাচ্ছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে রেপো রেট একই রাখা হচ্ছে। রেপোরেট ৪ শতাংশ আর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপোরেট ৩.৩৩ শতাংশ। গত মার্চ মাস থেকে ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমতিতে রেপোরেটকে রাখা হয়েছে।
তবে বিশ্বব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে। বলেছে ভরতসহ বিশ্বের বহু দেশেই আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়ার মুখে। ভারতের জিডিপি আরও নামবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের মহামারি আর লকডাউনের কারণে ভারতে প্রায় বন্ধ ছিল উৎপাদন। সেই কারণে স্তব্ধ হয়ে যায় আর্থিক ক্রিয়াকলাপ। বহু মানুষই কাজ হারিয়েছিলেন সেই সময়।