- Home
- India News
- ৪০ বছর ধরে করেছেন দেশসেবা, শরিক ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের, জেন নিন শ্যাম মানেকশ প্রসঙ্গে
৪০ বছর ধরে করেছেন দেশসেবা, শরিক ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের, জেন নিন শ্যাম মানেকশ প্রসঙ্গে
- FB
- TW
- Linkdin
পালিত হচ্ছে ভারতের ফিল্ড মার্শাল শ্যাম হোরমশিজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে স্বাধীন ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সামরিক বিজয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সৃষ্টির পথ প্রশস্ত করেছিলেন।আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে জেনে নিন তাঁর জীবন সম্পর্কে একাধিক অজানা কথা। এক ঝলকে দেখে নিন মাতৃভূমির প্রতি তাঁর অবদানের কাহিনি।
১৯১৮ সালে ৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন শ্যাম হোরমশিজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশ। তিনি পারস্য বংশোদ্ভুত ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ভারতের মাত্র দুজন সামরিক কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন। যিনি ফিল্ড মার্শল অর্জন করেন। প্রায় ৪ দশকের দীর্ঘ সামরিক জীবনের তিনি অর্জন করেছেন বহু সম্মান।
পড়াশোনায় বেশ মেধাবী ছিলেন শ্যাম হোরমশিজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশ। তাঁর বাবা তাঁকে লন্ডন পাঠাতে চেয়েছিলেন পড়াশোনার জন্য। কিন্তু, তিনি ছিলেন এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। সে কারণে তিনি ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে ভর্তি হন। সেই থেকে শুরু হয় তাঁর লড়াই। একে একে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছান তিনি।
শ্যাম হোরমশিজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশ ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচের সদস্য বিসেবে নির্বাচিত হন। তারা দ্য পাইওনিয়ারস নিমে পরিচিত ছিলেন। যা তাঁর কেরিয়ারের এক বড় পাওনা।দীর্ঘ ৪ দশের চাকরি জীবনে বহু সম্মান পেয়েছেন। দেশের প্রতি তাঁর অবদান বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইন্ডিয়ান মিলিটারিতে থাকাকালীন তিনি তাঁর বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছিলেন। গোর্খা রেজিমেন্টে যোগ দেওয়া তিনি প্রথম স্নাতক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ভারতে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করেন। তিনি ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা অর্জন করেছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে স্বাধীন ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সামরিক বিজয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় শ্যাম হোরমশিজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশের প্রোভাইডিং অ্যাডমিনেসট্রেটিভ পদে ছিলেন। তিনি সে সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন।১৯৪৭ এবং ১৯৪৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর অপারেশনে সময় একজন যোদ্ধা হিসেবে নিজের ভূমিকা পালন করেন। সারা জীবনে বহু সম্মান পেয়েছেন তিনি।
শ্যাম হোরমশিজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশ ৪০ বছর সেনাবাহিনীতে চারকি করেন। তিনি পাঁচটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এই তালিকায় রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪৭ সালের ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষ, ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধ, ১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। যা ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
তাঁর একাধিক উক্তি সাধারণের নজর কেড়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি কোনও মানুষ বলে সে মৃত্যুকে ভয় না, তাহলে সে নয় মিথ্যা বলছে অথবা সে গোর্খা।’ তাঁর এই বিখ্যাত উক্তি সকলের নজড় কেড়েছিল। তিনি সারা জীবনে একাধিক উক্তি মনে রাখার মতো।
শ্যাম হোরমশিজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশ ৯৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি তামিলনাড়ুর মিলিটারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২৭ জুন ২০০৮ সালে প্রয়াত হন তিনি। তিনি সারাটা জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করে গিয়েছেন। তিনি ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সর্বোচ্চ সামরিক পদবী ফিল্ড মার্শাল অর্জন করেন। তিনি ছাড়াও কোদানদেরা মদপ্পা কারিয়াপ্পা এই সম্মান অর্জন করেছিলেন।১৯৬৯ সালে ৮ জুন ইন্দিরা গান্ধী শ্যাম হোরমশিজি প্রেমজি জামশেদজি মানেকশকে সেনা প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।