- Home
- India News
- ৩৮টা ভাষা বলতে পারে দেশি রোবট 'শালু', বর্জ্য দিয়েই হংকংকে টেক্কা স্কুল-শিক্ষকের, দেখুন
৩৮টা ভাষা বলতে পারে দেশি রোবট 'শালু', বর্জ্য দিয়েই হংকংকে টেক্কা স্কুল-শিক্ষকের, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
শালুর নির্মাতা আইআইটি বম্বের কেন্দ্রিয় বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষক দীনেশ প্যাটেল। আদতে তিনি জৌনপুর জেলার রাজমালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বলিউড সিনেমা 'রোবট' তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তবে হংকংয়ের 'হ্যানসন রোবোটিক্স' সংস্থা যে মানুষের মতো রোবট 'সোফিয়া'কে তৈরি করেছে, যা গোটা বিশ্বে খ্যাতি পেয়েছে - তার থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই তাঁর তৈরি দেশি রোবট শালু। স্থানীয় নয়টি ভাষা ছাড়াও ৩৮টি বিদেশী ভাষায় কথা বলতে পারে সে।
এছাড়া এই মানব সদৃশ প্রোটোটাইপ রোবটটি লোকজনকে কাউকে চিনতে পারে, কোনও জিনিস মুখস্ত করতে পারে, জেনারেল নলেজ, অঙ্ক ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে পারে, শুভেচ্ছা জানাতে পারে, আবেগ প্রকাশ করতে পারে, সংবাদপত্র পড়তে পারে, আবৃত্তি করতে পারে এবং এইরকম আরও অনেক কাজ সম্পাদন করতে পারে।
অথচ দীনেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, শালুকে তৈরি করা হয়েছে, বর্জ্য পদার্থ থেকে সংগৃহীত প্লাস্টিক, পিচবোর্ড, কাঠ, অ্যালুমিনিয়াম-এর মতো জিনিস ব্যবহার করে। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় তিন বছর। আর ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০,০০০ টাকা।
একটাই নেতিবাচক বিষয় হল শালুকে দেখতে তেমন সুন্দর নয়। দীনেশ প্যাটেল বলেছেন, আসলে শালুর মুখ তৈরি করার জন্য এখনও পর্যন্ত প্লাস্টার অফ প্যারিস ব্যবহার করা হয়েছে। কেউ একটি সুন্দর মুখোশ তৈরি করে দিলেই শালুও দেখতে সুন্দর হয়ে উঠবে।
কিন্তু, এই রোবটকে কীভাবে কাজে লাগানো যাবে? দীনেশ প্যাটেলের দাবি, শালু-কে স্কুলে শিক্ষক হিসাবে, আবার অফিসে রিসেপশনিস্ট হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আইআইটি বম্বের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুপ্রতিক চক্রবর্তীও রোবটটির প্রশংসা করে বলেছেন, শিক্ষা, বিনোদন ছাড়াও অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এই জাতীয় রোবট ব্যবহার করা যেতে পারে। শালু পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের জন্য অনুপ্রেরণা, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।