- Home
- World News
- International News
- COVID 19: সাপের বিষেই করোনা-মুক্তি, নতুন গবেষণা আলো দেখাচ্ছে বিজ্ঞানীদের
COVID 19: সাপের বিষেই করোনা-মুক্তি, নতুন গবেষণা আলো দেখাচ্ছে বিজ্ঞানীদের
করোনাভাইরাসের প্রজননকে বাধা দিতে পারে একটি বিশেষ প্রজাতির সাপ। তেমনই দাবি করছেন ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা।তাঁরা বলেছেন ব্রাজিলা পাওয়া ভাইপাস সাপের বিষের একটি অনু বানরের কোষে প্রবেশ করিয়েছিলেন। তাতেই তাঁরা দেখেছেন সেই অনু করোনার ভাইরাসের প্রজননকে বাধা দিতে সক্ষম হচ্ছে। তবে এই বিষেয় আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা।
| Published : Sep 01 2021, 05:34 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
জারারাকুসু
ব্রাজিলের সবথেকে বড় আর বিষাক্ত সাপগুলির মধ্যে একটি। বিজ্ঞানীদের দাবি এই সাপের বিষই করোনার হাত থেকে বাঁচাতে পারে গোটা বিশ্বকে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই সাপের বিষই আগামী দিনে কার্যকারী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীদের দাবি
ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই সাপের বিষের একটি অনু বাননের কোষে প্রবেশ করানোর পর সেটি করোনাভাইরাসের প্রদননকে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে। সদ্যো প্রাকাশিত মলিকিউলসে এই গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
বিষের কার্যকারিতা
বিজ্ঞানীদের দাবি গবেষণায় দেখা গেছে জারারাকুসি পিট ভাইরাস দ্বারা উৎপাদিত অনু বানরের কোষে ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে।
বিজ্ঞানীর মন্তব্য
সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান রাফায়েল গুইদো বলেন, তাঁরা দেখেছেন, সাপের বিষের এই উপাদানটি করোনাভাইরাস থেকে একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রোটিনকে বাধা দিতে পারে। অনু হলে একটি অ্যাসিড শৃঙ্খল। যা করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে PLPro নামক এনজাইমের সঙ্গে যুক্ত হয়। যা অন্যান্য কোষকে আঘাত না করেই ভাইরাসের প্রজনন ঘটাতে সক্ষম।
পরবর্তী পদক্ষেপ
স্টেট ইনিভার্সিটি অব সাও পাওলো একটি বিবৃতি দিয়েছে। জানান হয়েছে পরবর্তী অণুর বিভিন্ন ডোজেক দক্ষতা ও ভাইরাসকে প্রথম কোষে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি মূল্যায়ন করা হবে। আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে কবে মানুষের কোষে এই পরীক্ষা করা হবে তা নিয়ে কোনও কথা এখনও বলেননি।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা
রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এবার মানুষ এই প্রজাতির সাপ ধরতে বেরতে। তাতে এই বিপন্ন হতে পারে পুরো প্রজাতি। বিজ্ঞানীরা বলেছেন সরাসরি বিষ করোনা সমস্যা সমাধানে কোনও কাজে লাগবে না। বিজ্ঞানীদের দাবি বিষের মধ্যে থেকে একটি মাত্র উপাদানই প্রয়োজন।
সতর্ক বার্তা
ব্রাজিলের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই জারারাকুসু শিকার করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন স্থানীয়দের। তারা যদি মনে করেন এই সাপের বিষই করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে- এমনটা নয়। এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন এটি নিজে কোনও বিষ নয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের নিরাময়ে সহায্য করতে পারে।
সাপ ধরার প্রয়োজন নেই
বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন,ব্যাকটেরিয়ান গুণের জন্য ইতিমধ্যেই পরিচিত পেপটাইড পরীক্ষাগারে তৈরি করা যেতে পারে। তাই অযোথ সাপ ধরা হত্যা করার কোনও প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে ব্রাজিলের স্থানীয় বাসিন্দাদের।
লম্বা সাপ
জারারাকুসু ব্রাজিলের অন্যতম বড় সাপ। যার দৈর্ঘ্য ৬ ফুট বা ২ মিটার। উপকূলীয় আটলান্টিক বনেই এজাতীয় সাপ বসবাস করে। বলিভিয়া প্যারাগুয়ে আর আর্জেন্টিয়াতেও এই সাপ পাওয়া যায়। তবে করোনার ওষুধ আবিস্কারের পাশাপাশি এই বন্য প্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখাও চ্যালেঞ্জ বিজ্ঞানীদের কাছে।
করোনা চিত্র
বিশ্বের প্রায় সবদেশই করোনা সংক্রমণের কারণে প্রভাবিত হয়েছে। ২১ কোটিরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৪৫ লক্ষেরও বেশি। করোনা বিশ্বের ক্রমতালিকায় এখনও শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় ভারত আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল।