- Home
- World News
- International News
- মহামারি শুরুর প্রায় একবছর পর চাঞ্চল্যকর দাবি, কোভিডের সব হিসাব গুলিয়ে দিল চিন
মহামারি শুরুর প্রায় একবছর পর চাঞ্চল্যকর দাবি, কোভিডের সব হিসাব গুলিয়ে দিল চিন
- FB
- TW
- Linkdin
চিনের উহান শহর থেকে প্রথম কোভিড মহামারির খবর আসার পর প্রায় এক বছর কেটে গিয়েছে। এতদিন পর এসে সব হিসাব গুলিয়ে দিল চিন। শুক্রবার বেজিং-এর পক্ষ থেকে কোভিড মহামারি নিয়ে করা হল এক চাঞ্চল্যকর দাবি। কোভিড-১৯ মহামারিটি চিনের আগেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি অংশে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু, চিন প্রথম দেশ হিসাবে বিশ্বকে সতর্ক করেছিল এই ভাইরাস সম্পর্কে।
বিশ্বব্যাপী এই মহামারি ছড়িয়ে পড়ার জন্য বিশ্বের অনেক অংশ থেকেই চিনকে দায়ি করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন তো একধাপ এগিয়ে মহামারিটি চিনের ষড়যন্ত্র, চিন ইচ্ছাকৃতভাবে মহামারিটি বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে দিয়েছে - এমন একাধিক অভিযোগ এনেছে। অন্যান্য দেশ এতটা আক্রমণাত্মক না হলেও ইউরোপিয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও মহামারিটির উৎস সন্ধানে চিনে বিশদ গবেষণা অভিযানের দাবি করা হয়েছে। কিন্তু, এইদিনের দাবিতে বেজিং এই অভিযোগ থেকে হাত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, গত বছরের শেষের দিকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানেই এই মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল। চিনই প্রথম দায়িত্বশীল দেশ হিসাবে এই প্রাদুর্ভাব নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করেছিল। রোগজীবাণুটিকে চিহ্নিত করেছিল এবং তার জিনোম ক্রম বাকি বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিল।
চুনিং আরও বলেন, নতুন করোনাভাইরাসটি এই ভাইরাস পরিবারের একটি সম্পূর্ণ নতুন স্ট্রেইন। তাই প্রত্যেকদিনই আরও বেশি বেশি তথ্য উঠে আসছে এই ভাইরাস ও তার নিরাময় সম্পর্কে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই টোকিওতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের মধ্যে হওয়া কোয়াড বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করেছিলেন, চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি মহামারির বিষয়ে তথ্য গোপন করায় করোনাভাইরাস সঙ্কট আরও গভীর হয়েছে। এদিনের চিনা বিদেশ সচিবের মন্তব্য তারই প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে চিন যে এই ধরণের বয়ানের দিকে এগোতে চলেছে তার ইঙ্গিত গত মাসের গোড়াতেই পাওয়া গিয়েছিল। মহামারির উৎস সন্ধানে চিনে গবেষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও চিনের আগেই অন্যান্য দেশে মহামারির সূচনার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথা বলা হযেছিল।
বস্তুত, ২০১৯ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফ্রান্স-ইতালি সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশেই কিছু অস্বাভাবিক নিউমোনিয়া রোগীর সন্ধান মিলেছিল। চিকিৎসকরা তাঁদের নিউমোনিয়ার প্রকৃতি নিয়ে ধন্দে ছিলেন।