- Home
- World News
- International News
- কৃষক আন্দোলন নিয়ে চলছে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র, স্পষ্ট হল গ্রেটা থুনবার্গের মুছে ফেলা বার্তা থেকে
কৃষক আন্দোলন নিয়ে চলছে ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্র, স্পষ্ট হল গ্রেটা থুনবার্গের মুছে ফেলা বার্তা থেকে
আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনের নামে ভারতবিরোধী এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র চলছে। যা সামনে এসেছে গ্রেটা থুনবার্গের শেয়ার করা টুইটার পোস্ট থেকে। যদিও ১৮ বছরের জলবায়ু কর্মী তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্টটি মুছে ফেলেছেন। কেন তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
- FB
- TW
- Linkdin
তরুণ জলবায়ু পরিবর্তন বিরোধী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে পরিচিত গ্রেটা থুনবার্গ। ভারতের চলা আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি একটি পোস্ট করেন। যেখান থেকে স্পষ্ট হয় কৃষক আন্দোলনে সমর্থনের নামে ভারত বিরোধী একটি ষড়যন্ত্র চলছে। যদিও গ্রেটা তাঁর পোস্টটি মুছে ফেলেছেন।
গ্রেটা তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে গুগুল ডকুমেন্টের একটি টুলকিট শেয়ার করেছিলেন। সেখানে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে প্রচার করার কথা বলা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা কৃষক আন্দোলনকে কী ভাবে সমর্থন করতে পারেন তার উপায় বলা রয়েছে। সেই নথিতেই বলা হয়েছে কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইটারে ঝড় তোলার কথা। একই সঙ্গে এই বিক্ষোভকে সমর্থন জানানোর জন্য ভারতীয় দূতাবাস ও সরকারি অফিসগুলির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে।
টুলকিটে বলা হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের পাশাপাশি আদানি ও আম্বানিদের কার্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার কথা । ৪ ৫ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি নিয়ে টুইটারে একাধিক পোস্ট করার কথাও বলা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারির ঘটনা দিকে লক্ষ্যে রেখে একাধিক সমাবেশ আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে। ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে উৎসাহিত করার কথাও বলা হয়েছে। অর্থ সংগ্রহ ও সুপরিকল্পিত প্রচারের কথাও বলা হয়েছে।
ডকুমেন্টটিতে ২১-২৬ জানুয়ারির মধ্যে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ আরও তীব্র করার কথাও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মানবাধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘনের বিষয়গুলির দিকেও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ভারতের দুর্বল নাগরিকদের জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন, হিংসা আর নির্মমতার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ২৬ জানিয়ারি যখন দেশটি গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সামরিক প্যারেড করছিল তখন, ক্ষতিকারক নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য সংবিধানের নিয়ম ভাঙা হয়েছিল।
দলিলটিকে গণহত্যা সম্পর্কেও বলা হয়েছে। এই টুলকিটটি মূল লক্ষ্যই হতে যেকোনও উপায়ে ভারতের সম্মানকে ধুলোয়ে মিশিয়ে দেওয়া। তথ্যটিকে বলা হয়েছে কৃষক আন্দোলনের দিনে আন্তর্জাতিক মনোনিবেশই একমাত্র পারে রাষ্ট্রীয় মদতে গণহত্যা রুখতে।
মুছেফেলা টুলকিটটি চিট শিট শিরোনামে অন্য একটি গুগুল ডকুমেন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। যেখানে বিজেপিকে একটি স্বৈচারী দল হিবেসে চিহ্নিত করা হয়েছে।