- Home
- World News
- International News
- করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে তীব্র আতঙ্ক চিনে, কড়া লকডাউনে ফের শুনশান রাস্তাঘাট, ফের গৃহবন্দি ৫ মানুষ
করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে তীব্র আতঙ্ক চিনে, কড়া লকডাউনে ফের শুনশান রাস্তাঘাট, ফের গৃহবন্দি ৫ মানুষ
- FB
- TW
- Linkdin
করোনার এই বড় লাফের জন্য ওমিক্রণের নতুন স্ট্রেনকেই দায়ী করছেন একটা বড় অংশের গবেষকেরা। গত ২৪ ঘন্টায় চিনে ৫ হাজার ২৮০টি নতুন করোনা কেস ধরা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চিনে সর্বোচ্চ ১২ হাজার করোনা কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। চলতি বছরের শুরুতে আবারও করোনা মহামারির প্রভাব দেখতে পেল চিন।
এখন করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সাব-ভেরিয়েন্ট 'স্টিলথ ওমিক্রন' চিনে বেশি করোনা কেস ধরা পড়ার পিছনে একটি বড় কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ১৩টি শহরকে সম্পূর্ণভাবে লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে। আরও কয়েকটি শহর আংশিক লকডাউনের অধীনে রয়েছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর, চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০৯। কিন্তু তারপর থেকেই ক্রমেই বাড়তে থেকেছে আক্রান্তের সংখ্যা।
শুক্রবার চিনে ৫৮৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল, শনিবার এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯৩৮। এর পরে, রবিবার চিনে ১৪৩৬ করোনার কেস পাওয়া গিয়েছে।
সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ২৮০-তে। অর্থাৎ যেখানে গত একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে, সেখানে শুক্রবার থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে নয় গুণ। আর তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে বেশ খানিকটা।
চিনে ক্রমবর্ধমান করোনা আক্রান্তের কারণে দেশের কঠোর 'জিরো কোভিড পলিসি' নতুন করে কাজে লাগাতে হচ্ছে। শিল্পনগরী সাংহাইয়ে আবারও আবাসিক এলাকা ও অফিস চত্বরে কড়া নিয়ম জারি করা হয়েছে।
চিনে করোনার বর্তমান ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জিলিন প্রদেশ। এছাড়া চিনের কারিগরি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শেনজেন প্রদেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।