- Home
- World News
- International News
- করোনা ভ্যাকসিন আসতে এখনও একবছর, বলছেন 'হু'র গবেষক, সেপ্টেম্বরেই বাজারে আসছে পাল্টা ঘোষণা রাশিয়ার
করোনা ভ্যাকসিন আসতে এখনও একবছর, বলছেন 'হু'র গবেষক, সেপ্টেম্বরেই বাজারে আসছে পাল্টা ঘোষণা রাশিয়ার
- FB
- TW
- Linkdin
গত মঙ্গলবার আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বকে চমকে দিয়ে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে গামালেয়া ইনস্টিটিউট। বিশ্বকে চমকে দিয়ে সেই ১৯৫৭ সালে রাশিয়ার উৎক্ষেপিত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ভ্যাকসিনের নাম রাখা হয়েছে ‘স্পুটনিক ভি’।
তবে চমক যতই থাকুক না কেন, উল্কাগতিতে তৈরি প্রতিষেধকটি তার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে। তাঁর মেয়েকেই প্রথম ডোজ় দেওয়া হয়েছে, ভ্যাকসিনটি ভরসা যোগ্য— এ সব বলে পুতিন যতই আশ্বাস দিন না কেন, প্রতিষেধকটি নিরাপদ কি না, তার কার্যকারিতা কতটা ইত্যাদি নিয়ে প্রথম দিন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এমনকি এ বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মনীতি না-মানার অভিযোগ উঠেছে খোদ রাশিয়ার অন্দরেও। প্রতিবাদে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে পদত্যাগ করেছেন রাশিয়ার প্রথম সারির চিকিৎসক অলেকজান্ডার চুচালিন।
তবে বিশেষজ্ঞরা যা-ই বলুন না কেন, এই ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের উন্মাদনার শেষ নেই। গামালেয়া ইনস্টিটিউটের প্রধান, অলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবককে প্রতিষেধকের দু’টি করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। তবে সে জন্য কাউকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে না। তাঁরা বাড়ি থেকেই স্বাভাবিক ভাবে যাতায়াত করতে পারবেন।
রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রথম দফায় প্রতিষেধক তারা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে। প্রথমে তা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে। পাশাপাশি, প্রতিষেধকের জন্য সাধারণ মানুষকেও বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। সেপ্টেম্বর মাসেই সকলের জন্য তা বাজারে চলে আসবে।
এদিকে রাশিয়ার তৈরি বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা স্পুটনিক ভি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা , শুধু তাই নয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে স্পুটনিক-ভি।
করোনা ভ্যাকসিন তালিকায় যে নয়টি পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাডভান্স স্টেজে আছে সেখান থেকে বাদ পড়েছে রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি।
এদিকে মানুষ যাতে বিনা মূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পান সে জন্য বিশ্বজুড়ে টাকা তুলছে 'হু'। এমনকি এই উদ্যোগে বিভিন্ন দেশকে ভ্যাকসিনে লগ্নি করারও আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে সেগুলি সেই দেশ দ্রুত হাতে পায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভারত এই ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে আছে, গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও অন্তত ১ বছর লাগবে।
স্বামীনাথন বলেছেন, এই মুহূর্তে ভারতে বিভিন্ন সংস্থা ৮টি করোনা টিকা তৈরি করছে। সাধারণত, একটি টিকা তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ বছর লাগে। তবে অতিমারীর কারণে এখন অন্তত দেড় বছর তো লাগবেই।
স্বামীনাথন বলেছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও করোনা টিকা সাফল্য পেয়েছে বলে তাঁদের কাছে খবর নেই। টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডেটার খবর পাওয়া গেলে তারপর ইস্যু করা হবে অথরাইজেশন লাইসেন্স।
হু-র প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, আগামী ১ বছর মাস্ক পরতে হবে, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং পালন করতে হবে। একমাত্র এভাবেই করোনা ঠেকানো সম্ভব।