- Home
- World News
- International News
- Kabul Blast: আত্মঘাতী জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে হামলার দায় স্বীকার, তালিবানদের কি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ISIS-K
Kabul Blast: আত্মঘাতী জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে হামলার দায় স্বীকার, তালিবানদের কি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ISIS-K
একটা নয় পরপর তিনটে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বৃহস্পতিবারের কাবুল। মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে একশো ছুঁতে চলেছে। হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ মার্কিন সেনা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আত্মঘাতী জঙ্গি ছবি প্রকাশ করে হামলায় দায় স্বীকার করে নিয়েছে তালিবান বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা আইএস খোরাসান।
| Published : Aug 27 2021, 01:23 PM IST / Updated: Aug 27 2021, 01:26 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ইসলামিক স্টেট - খোরাসান
ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখা। সংগঠনের সদস্যরা সবথেকে বেশি সক্রিয় আফগানিস্তানের খোরাসান প্রদেশে। তাই এই নামকরণ। সিরিয়া আর ইরাকেও এদের সদস্য রয়েছে।
সক্রিয় হয়
২০১৪-২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেট সিরিয়া ও ইরাকে রীতিমত সক্রিয় ছিল ইসলামিক স্টেট। নিশংসতায় তারা ছাপিয়ে গিয়েছিল তালিবানদেরও। সেই সময়ই আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর ওপরও হামলা চালায় সংগঠনের সদস্যরা।
খোরাসানের মাথা
আফগানিস্তানে খোরাসানের মাথা পাকিস্তানের বাসিন্দা হাফিজ সইদ খান ওরফে আমির। পাক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেই খোরাসানদের বিশেষ হৃদ্যতা ছিল। খোরাসানদের প্রশিক্ষণ দেয় পাকিস্তান সেনা বাহিনীর ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা ISI।
তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক
তালিবানদের সঙ্গে একটা সময় রীতিমত ঘনিষ্টতা ছিল। হাফিজ সইদ খানের ডেপুটি অধুল রউফ আলিজা একটা সময় তালিবান হিসেবেই পরিচিত ছিবল। একটি রিপোর্ট বলছে আলিজা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে ছিল দীর্ঘ দিন। আলিজাকে হত্যা করতে বিমান হামলাও চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমান নেতা
শাহাব আল মুহাজিব এখন খোরাসানদের নেতৃত্বে রয়েছে। মূলত আরবের বাসিন্দা। তিনি প্রথম নেতা যিনি দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে থেকে গিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একটা সময় আল-কায়দার সঙ্গেও কাজ করেছিলেন। হাক্কানি নেটওয়ার্কে কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। তালিবানদের সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা ছিল।
একটি রহস্য
শাহাব আল মুজাহিব ২০২০ সালে খোলাসানের প্রধান হন। জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকেও তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে একটি সূত্র বলছে, আবু মহাম্মদ খুরাসানি নামে এক ব্যক্তি তিনি দলের প্রধান। অনেকে আবার দাবি করে দুজনেই একই ব্যক্তি। একটা সময় রাষ্ট্র সংঘের গোয়েন্দা রিপোর্টেও বলা হয়েছিল সিরিয়ার বাসিন্দাকেই খোরাসানের প্রধান করা হবে।
শক্তিশালী খোরাসান
ওয়াশিংটনের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ওপর প্রায় শতাধিক জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল। ২০১৭-১৮ সালের মধ্যে আফগান-পাক-মার্কিন সেনার ওপর প্রায় ২৫০টি হামলা করেছে। অধিকাংশ হামলার কথাও ইসলামিক স্টেট-খোরাসান স্বীকার করে নিয়েছে।
যোদ্ধার সংখ্যা
আইএস-খোরাসানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সংগঠের হয়ে প্রায় ১৫০০-২০০০ জঙ্গি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সদস্যরা ছোট ছোট দলে কাজ করে। আত্মঘাতী ও গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে পারদর্শী এই সংগঠনের সদস্যরা।
তালিবানদের নজরে খোরাসানরা
একটা সময় দুটি জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে সম্পর্ক থাকলেও বর্তমানে সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে। আমেরিকার সঙ্গে তালিবানদের শান্তিচুক্তি মেনে নিতে পারেনি খোরাসানরা। তালিবানরা তাদের কাছে বিশ্বাসঘাতক। বর্তমানে আফগানিস্তানে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চালাচ্ছে খোরাসানরা।
সম্পর্কে চিড়
তালিবানরা কাবুল দখলের পরে জানিয়েছে, আবু ওপর খোরাসানিকে তারা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ইসলামিক স্টেটের প্রধান ছিলেন। কাবুল কারাগারে রাখা হয়েছিল তাকে। কাবুল বিমান বন্দরে হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছেন হামলাকারীদের ক্ষমা করা হবে না।
হামলার দায়
কাবুল বিমান বন্দর জোড়া হামলার দায় স্বীকার করে আত্মঘাতী জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান। আফগানদের দেশ ছাড়তে দেবে না বলেও জানিয়েছে। তালিবানদের গাড়িতেও বিস্ফোরণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কাবুলে বিস্ফোরণে নিহত
কাবুল বিমান বন্দরে জোড়া বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে একশো। আহতের সংখ্যা দেড়শোর বেশি। ১৩ মার্কিন সৈন্যর মৃত্যু হয়েছে। তবে মার্কিন সেনা ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবে বলেও মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে।