- Home
- World News
- International News
- রাজাপক্ষের খাটে 'সুখনিদ্রায়' সাধারণ মানুষ, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিভবন থেকে উদ্ধার ৫০ হাজার ডলার - দেখুন ছবিতে
রাজাপক্ষের খাটে 'সুখনিদ্রায়' সাধারণ মানুষ, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিভবন থেকে উদ্ধার ৫০ হাজার ডলার - দেখুন ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষেই এই বিলাসবহুল বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু এখন তিনি নিরুদ্দেশ। দেশ ছেড়ে যাননি বলেও মনে করা হচ্ছে। সেনা বাহিনীর কোনও গোপন ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে ১৩ জুলাই তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। রাজাপক্ষে ও তাঁর সরকারের পদত্যাগের দাবিতেই পথে নেমেছে অর্থনৈতিক সংকটে ভোগা শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কার গণবিক্ষোভ কিছুটা শান্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি ভবনের দখল ছাড়েনি। তাঁরা জানিয়েছে রাজাপক্ষের সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই ভাবেই সরকারি বাড়ির দখল তারা নিজেদের হাতে রাখবে। আন্দোলনকারীদের কথায় দিনের পর দিন তাদের অভুক্ত রেখে রাজাপক্ষে ও তার সরকার লুঠ করেছে শ্রীলঙ্কাকে। আর নিজেরা ধনী হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার জনতার দাবি রাজাপক্ষের রাষ্ট্রপতি ভবনের গোপন বাঙ্কার থেকে তারা কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি রাজাপক্ষের সরকার যে টাকা লুঠ করেছে তা তারা উদ্ধার করেছে। বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতিভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের হাতেই সমস্ত টাকা তুলে দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারী ও পুলিশের দাবি রাজাপক্ষের গোপন বাঙ্কার থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ডলার। প্রতিটি টাকাই নতুনষ শ্রীলঙ্কার ব্যাঙ্কের নতুন কড়কড়ে নোট। পুলিশ জানিয়েছে পুরো টাকাই আদালতে পেশ করা হয়েছে। এই টাকা রাজাপক্ষের চুরি করেছিলেন বলেও অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সরকারি নথি ভর্তি একটি স্যুটকেস। রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া আগে থাকতেন নিজের বাড়িতে। কিন্তু ৩১ মার্চ সেখান থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। তারপর থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনই ছিল তাঁর ঠিকানা। কিন্তু রবিবার শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনার কর্মকর্তাদের সাহায্যে রাষ্ট্রপতিভবনের পিছনের দরজা নিয়ে তিনি পালিয়ে যান।
আগে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষকে দূর থেকেই রাষ্ট্রপতিভবন দেখতে হত। কিন্তু আন্দোলকারীদের জন্য ব্রিটিশ আমলের সিংহদুয়ার দেওয়া সেই বাড়ির দরজা এখন সর্বদা খোলা। সাধারণ মানুষ অবাধে ঢুকছে আর বার হচ্ছে। পুলিশ থাকলেও বাধা দিচ্ছে না। বিক্ষোভকারীরাই বাড়ির দেখভালের দায়িত্ব নিচ্ছে। তারাই বলছে এখানে আসুন দেখুন থাকুন। কুন্তু কোনও জিনিস নষ্ট করবেন না। কারণ এটি দেশের মানুষের।
রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া পদত্যাগ করেলে অস্থায়ী রাষ্ট্ররতি হিসেবে দায়িত্ব পাবেন শ্রীলঙ্কার স্পিকার।মাহিন্দা আবেবর্ধন সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সরকার চালাবেন। উত্তরাধিকার প্রক্রিয়ায় তিন দিনের মত সময় লাগবে পার্লামেন্ট আহ্বান করার। সর্বোচ্চ এই প্রক্রিয়া চলতে পারে ৩০ দিন।
রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অর্থনীতিকে এমন এক পর্যায়ে অব্যবস্থাপনার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে যেখানে দেশটি এমনকি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় আমদানির অর্থায়নের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা শেষ হয়ে গেছে, যা ২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য গুরুতর কষ্টের দিকে পরিচালিত করে।
সোমবার কয়েক হাজার মানুষ রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ ও নিকটবর্তী সমুদ্রতীরে রাষ্ট্রপতি সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর টেম্পল ট্রিস সরকারি বাড়ি দখল করেছে। বিরোধী দলনেতা
দেল পাইরিস বলেন সাধারণ মানুষের দাবি খুবই ন্যায় সংগত। তাঁরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে অনড় রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া পদত্যাগ করেলে অস্থায়ী রাষ্ট্ররতি হিসেবে দায়িত্ব পাবেন শ্রীলঙ্কার স্পিকার।মাহিন্দা আবেবর্ধন সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সরকার চালাবেন। উত্তরাধিকার প্রক্রিয়ায় তিন দিনের মত সময় লাগবে পার্লামেন্ট আহ্বান করার। সর্বোচ্চ এই প্রক্রিয়া চলতে পারে ৩০ দিন।
শ্রীলঙ্কার গোটা রাষ্ট্রপতিভবন জুড়ে কার্যত রাজ করছে দেশেকর সাধারণ মানুষ। ছাদের ওপরও চ়ড়েছেন সাধারণ মানুষ । যাদের ট্যাক্টের টাকায় রাষ্ট্রপতিভবন চলত কিন্তু তাঁদের জন্যই এতদিন দরজা ছিল বন্ধ। তারা এখার গোটা ভবন জুডে রাজ করছে।
পলাকত রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষের কনফারেন্স রুমের দখলই বিক্ষোভকারীদের দখলে। দামি কাঠের চেয়ার টেবিলে বসে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাদের হাতে রয়েছে ফোন থেকে শুরু করে গোটা ভবনের নিয়ন্ত্রণ। দ্বীপরাষ্ট্রের ২২ মিলিয়ন মানুষের জন্য বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতিভবনের জরজা খুলে দিয়েছেন। অনেকেই নিছকই দেখার উদ্দেশ্যেই আসছেন রাষ্ট্রপতিভবনে।
রেডকার্পেট পাতা রাজাপক্ষের দরবার। সেখানেই বলেছে ভুয়ো সভা। বিক্ষোভকারী ও সাধারণ মানুষ এখন সেফলি তুলতেই ব্যস্ত। অনেকে আবার গোটা ঘটনার সাক্ষী হিসেবে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় গোটা ঘটনার ভিডিও করে রাখছেন। আগামী দিনে এমন সুযোগ নাও পেতে পারেন। সাধারণ মানুষের কথা তাদের টাকায় রীতিমত আরাম করে দিন কাটিয়েছেন রাজাপক্ষে।
যে বাড়ি কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল । দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আর শিল্পপতি বা বিদেশে রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য এতদিন যে বাড়ির দলজা শুধু খুলত তা এখন সর্বসাধারণের । তাই বিলাসবহুর বাড়িতে এসে ছবি না তুলে পারেননি দর্শনার্থী বা বিক্ষোভকারীরা। যদিও এখন বিক্ষোভকারীদের থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি রাষ্ট্রপতিভবনে। পুলিশও আর বাধা দিচ্ছে না।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের কোটি কোটি টাকা মূল্যের পালঙ্ক এখনন দেশের সাধারণ মানুষের হাতে রয়েছে। সেখানে শুয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন দেশের অনেক সাধারণ মানুষ।