- Home
- World News
- International News
- চিন বিমুখ হল বেজিং-এর আরও এক বন্ধু, ভারত মহাসাগরে বিরাট জয় পেল নয়াদিল্লি
চিন বিমুখ হল বেজিং-এর আরও এক বন্ধু, ভারত মহাসাগরে বিরাট জয় পেল নয়াদিল্লি
শ্রীলঙ্কায় নতুন করে ক্ষমতায় ফিরেছেন রাজাপক্ষে ভাইরা। তাঁরা নয়াদিল্লির থেকে বেশি বেজিংমুখী বলেই পরিচিত। তাই শ্রীলঙ্কায় চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন ভারত। উদ্বেগ রয়েছে চিনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর চুক্তি নিয়েও। বুধবার ভারতের প্রতিবেশি এই দ্বীপরাষ্ট্র জানালো ভারত এবং চিন দুই দেশই অর্থনৈতিক দৈত্য, আর তারা রয়েছে এই দুই দৈত্যের মাঝে। কিন্তু এদের মধ্যে কাদের পক্ষ বেছে নিল তারা?
- FB
- TW
- Linkdin
সদ্য শ্রীলঙ্কার বিদেশ সচিব হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন জয়নাথ কলম্বেজ। আর দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই তিনি নয়াদিল্রি সঙ্গে কলম্বোর সম্পর্কের উন্নয়নে উদ্যোগী হলেন। চিন-শ্রীলঙ্কা মাখামাখি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ দূর করে তিনি এদিন জানিয়েছেন, তাঁদের দেশের নয়া বিদেশনীতি হল 'ভারত প্রথম পন্থা'।
এমনিতে শ্রীলঙ্কার বর্তমান শাসক রাজাপক্ষেদের সঙ্গে বোজিং-এর সম্পর্ক খুবই ভালো বলে শোনা যায়। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে চিনের সম্প্রসারণবাদ দেখে তাদের আসল চেহারাটা সম্ভবত তাঁদের সামনে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। কলম্বেজ আরও জানিয়েছেন ভারতের কৌশলগত সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকারক হয় এমন কিছু কখনই করবে না শ্রীলঙ্কা। কারণ রাষ্ট্রপতি গোটবায়া রাজাপক্ষের কৌশলগত সুরক্ষার মূল নীতিই হবে 'ভারত প্রথম'।
গত ১৪ আগস্ট শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল কলম্বেজকে নতুন বিদেশসচিব হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটবায়া রাজাপক্ষে। সামরিক পটভূমি থেকে আসা সেই দেশের প্রথম বিদেশ সচিব হলেন তিনি। তাঁর ভাবনা-চিন্তাও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিদেশ সচিবদের থেকে আলাদা। তিনি জানিয়েছেন পশ্চিমমুখী নীতির বদলে যে শ্রীলঙ্কা এখন বেশি করে প্রতিবেশি দেশগুলি, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকার দিকে ঝুঁকবে। আর সবার আগে থাকবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক।
২০১৭ সালে, ৯৯ বছরের ইজারাতে চিনকে তাদের দক্ষিণ দিকের হাম্বানটোটা বন্দর হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তার আগে বন্দরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছিল চিন সরকার। ঋণের জালে জড়িয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। চিনের হাতে বন্দরটি তুলে দেওয়া ছাড়া গতি ছিল না। এই চুক্তি করা ভুল ছিল বলে দাবি করেছেন কলম্বেজ। তবে এই ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা ভারতকেই প্রথমে উন্নয়নের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু, নয়াদিল্লি সেই সময় প্রকল্পটি হাতে নেয়নি।
হাম্বানটোটা বন্দর এরপর চিনারা ভারত মহাসাগরে নৌবাহিনীর ঘাাঁটি হিসাবে ব্যবহার করবে বলে আশঙ্কা ভারতীয় গোয়েন্দাদের। তবে কলম্বেজ আশ্বাস দিয়ে বলেছেন শ্রীলঙ্কা অন্য একটি দেশ, বিশেষত ভারতের বিরোধী কিছু করার জন্য চিন কেন, কোনও দেশকেই তাদের দেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না।
রাজাপক্ষের আগের শ্রীলঙ্কার সিরিসেনা সরকার ভারত ও জাপানের সঙ্গে কলম্বো বন্দরে একটি টার্মিনাল তৈরির জন্য ত্রিপাক্ষিক মউ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। রাজাপক্ষেরা ক্ষমতায় ফেরায় সেই চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কলম্বেজ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষে ইতোমধ্যেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এই চুক্তি মানবেন। বন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নগুলি এর কঠোর বিরোধিতা করছে। তবে তা সত্ত্বেও, শ্রীলঙ্কা এই সমঝোতা রক্ষার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন।