মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
- FB
- TW
- Linkdin
কলকাতার আশে-পাশে একাধিক মাছ ধরার লেক বা ভেড়ি রয়েছে। আপনি টিকিট কেটে বড়শি নিয়ে গিয়ে অবশ্যই মাছ ধরতে পারেন। তবে যদি মাছ ধরার স্বপ্ন থাকে, কিন্তু বড়শি দিয়ে মাছ কখনও ধরা হয়নি। তাহলেও আপনি গেলে শান্তি পাবেন।
নিদেন পক্ষে মাছ না ধরতে পারেন বড়শি ধরলেও মন ভালো হয়ে যাবে। বাকি মনযোগ দিয়ে খেয়াল করুন। কেই বা বলতে পারে এই বর্ষায় আপনার হাতে সব বড় মাছটাই উঠবে না।
কলকাতার কাছে পিঠে মাছ ধরার ঠিকানাগুলি হল,বিদাননগর থেকে সায়েন্সসিটি যাওয়ার আগে পড়বে ক্যাপটেন ভেড়ি ফিসিং পার্ক, বনহুগলির স্বভিমান পার্ক, নলবন ফিশারিস পার্ক, সুভাষ সরোবর ইত্যাদি। তবে যাবার আগে জেনে নেবেন কোভিড পরিস্থিতিতে এই জায়গাগুলি কখন খোলা থাকছে।
কলকাতা থেকে গঙ্গা ধরে উত্তরে এগোলেই প্রথমে পড়বে বাঁশবেড়িয়ার ডানলপ চর। আপনি এখানে এলে অবশ্য সেই প্রফেশনাল কোনও টাচ পাবেন না। খুবই প্রাকৃতিক ছন্দে সময় কাটবে। তবে এখানে অভিজ্ঞ কাউকে নিয়ে এলে ভাল করবেন।
পর্যটন শিল্পের দাবি, ইউরোপে বিনোদনের জন্য মাছ ধরেন প্রায় আড়াই কোটি জন। খচর করেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা। ইউরোপিয়ান অ্যাঙ্গলার্স অ্যালায়েন্স এবং ইউরোপিয়ান ফিশিং ট্যাকল ট্রেড অ্য়াসোসিয়েশনের হিসেব অনুযায়ী, মাছ ধরার যন্ত্র বা উপকরণই তৈরি করে ২,৯০০ সংস্থা। সেখানে কাজ করেন প্রায় ৬০ হাজার জন।
আমেরিকাতেও স্পোর্টস ফিশিংয়ে যুক্ত আছেন ৮.৮ কোটি মানুষ। তাঁরাও বছরে খরচ করেন ২ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সেই সূত্রে কাজের সুযোগ হয় ১০ লক্ষ মানুষের। আগামী দিনে ভারতেও এই শিল্পের বড়সড় বাজার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞের।
অ্য়াডভেঞ্চার ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট ইনডেক্স রিপোর্ট বলছে, ভবিষ্যতে পর্যটন ব্যবসার ৫০ শতাংশ আসবে এই ধরনের বেড়ানো থেকে।অ্য়াডভেঞ্চার ট্যুর অপারেটার্স অ্য়াসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ারও দাবি, দেশে এই ব্য়াবসা বাড়ছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।