আজই বেরিয়ে পড়ুন, মন ভাল করে ফিরুন, রইল কলকাতার সেরা রেস্তোরার হদিশ
গল্পে-সাহিত্য়ে এমনও শোনা যায় কেউ নাকি খেতে ভালবাসার জন্য আত্মহত্যা করতে গিয়েও ফিরে আসেন। বোঝাই যায় বাঙালি জীভের স্বাদ এবং কলমের টানের ইমাজিনেশন ঠিক কত দূর যায়। হয়তো, 'যতো দূর চোখ গেছে, যত দূর কেউ কাকে চায়..।' সে প্রথম প্রেমে হোক কিংবা অবসরের একাকিত্বে নতুন করে কাউকে ভালবেসে তাঁকে নিয়ে গিয়ে হোক, কথা বলতে গিয়ে জীভ জড়িয়ে গেলেও কলকাতার এই রেস্তরাগুলি আপনাকে ডাহা ফেল করা থেকে বাঁচিয়ে দেবে। কেই বা বলতে পারে রাতে ফেরার সময়ে কপালে জুটতে পারে উপরিপাওনা। তাহলে আজই বেরিয়ে পড়ুন, জেনে নিন কোথায় আছে সেই সব রেস্তারা, রাজ্য়ের রাজধানীতে।
- FB
- TW
- Linkdin
বিরিয়ানিতে সব বাঙালির প্রথম কথা, 'মুখ যেন মারে না ভাই।' আর যদি না বলে ওঠার সময় 'বেশি খাওয়া হয়ে গেছে' তাহলে বুঝতে হবে ভালই লাগেনি। আসলে বাঙালি যেখানে যায়, তার পিছু পিছু রান্নাঘরও যায়। তাইতো কলকাতার বিরিয়ানিতে এসে আলু-ডিম বাসা বেধেছে। জানি,জীভে এবার জল এসেছে। আজকেই আপনি যে রেস্তরায় বিরিয়ানির জন্য যেতে পারেন, তার নাম হল আরসেলন।
তবে পাত পেড়ে বাঙালি খাবার হাত চেটে খেতে যেতেই পারেন ভজহরি মান্না। মনের মত রকমারি পদও যাবেন পেয়ে। মাছের কাটা চিবিয়ে, কাকড়ার ঘিলু চিবিয়ে হোক কিংবা মাংস কষার মায়ায় দিন ভাল কাটাবেন। সময় করে যেতে পারলে শুধু কষা মাংসের জন্য গোলা বাড়িও যেতে পারেন।তবে রাগ করে ভাতের উপর জল ঢালার সাবেকি ঘরানাটার চল এখন আর নেই। বরং কেউ ক্ষেপে গিয়ে পুরো হাড়ি ফাঁকা করে দিলেই বিপদ। তাই সাবধান, খেতে গিয়ে কাউকে চটাবেন না। পকেট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।
তবে টেরিটি বাজারের তিব্বতি খানা চাখলে কিছু রেশ থেকে যাবে। পর্ক মোমো, বাউসি বান, ফিস মিট বল সুপ, সসেজ সবই মিলবে এখানে।
আর কলকাতার বিখ্যাত জাইকার রোল। অল্প ক্ষিদে বা অল্প হেটে যেতেই পারেন জাইকায়। মন ভরে কামড় দিন যে কোনও রোলে। ডুবে যাবেন স্বাদের সমুদ্রে।
শোনা যায় রসগোল্লা যে ময়রা বানান তাদেরও সুগার হয়ে যায়। মিষ্টি খেয়ে ?! তাহলেই হয়েছে এমন হৃদয়বাণ রসগোল্লা মালিক আছে কি কলকাতায়। আসলে গন্ধেই শর্করা জমে রক্তে। তবে খেলে কি হয়, সেটা খেয়েই জানাতে ভালবাসে বাঙালি। তাই উৎসবে পার্বণে, নিজেরাও সপাটে সুপোটে খায়, বাইরের কেউ আসলেও তাঁকেও খাওয়ায়, সে হল কেসি দাশের রসগোল্লা। শেষ পাতে হোক কিংবা আর্শীবাদে তাকেই যে মানায়।