- Home
- West Bengal
- Kolkata
- ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত শহর কলকাতা, চলুন কারণ জানতে ঘুরে দেখা যাক শহরের অলিগলি
ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত শহর কলকাতা, চলুন কারণ জানতে ঘুরে দেখা যাক শহরের অলিগলি
- FB
- TW
- Linkdin
রাজ্যের মধ্যে কলকাতায় অবস্থিত এই অন্যতম দর্শনীয় স্থান ভিক্টোরিয়া। তবে এই ভিক্টোরিয়ার পাথরেও বাতাষের বিষবাস্পে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। বাতাসে উপস্থিত অ্যাসিড বাস্প ক্রমগত আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে, তথা জৌলসও কমিয়ে দিচ্ছে এই স্থাপত্যের।
বায়ুদূষণের উপর একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টে সম্প্রতি উঠে এসেছে যে, শহরের বার্ষিক পিএম স্তর (PartiCulate Matter) ২.৫ লেভেল, সবচেয়ে বিষাক্ত অতিসুক্ষ কণা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বারা নির্ধারিত সীমার প্রায় ১২ গুণ বেশি।
বিশ্বের ১১৭ টি দেশের ৬ হাজার ৪৭৫টি শহরে পিএম স্তর (PartiCulate Matter) ২.৫ লেভেলের উপর ভিত্তি করে বায়ুর গুণমান নিয়ে কাজ করে একটি সুইস সংস্থা। যা কিনা মূলত ওয়ার্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট নিয়ে কাজ করা হয়েছে।
২০২১ সালের মধ্যে কলকাতার গড় পিএম ২.৫ লেভেলের স্তর ভারতের মেট্রো শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল। যেখানে দিল্লি প্রায় ১৫ শতাংশ, যেখানে মুম্বই ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ২০২০ থেকে চেন্নাই এবং ব্যাঙ্গালোর প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
পিএম ২.৫ লেভেলের স্তর, অতি সূক্ষ এই কণা যা মানবশরীরের জন্য ভয়ানক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। প্রতিমুহূর্তেই এই দূষণ নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে শহরবাসীর ফুসফুসে ঢুকছে। এটি নিয়মিতভাবে পরিমাপ করা ৬ বায়ুদূষণকারীর মধ্য়ে অন্যতম। সাধারণত মানবশরীরের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক হিসেবে স্বীকৃত।
বায়ুদূষণের উপর ওই আন্তর্জাতিক রিপোর্টে সম্প্রতি উঠে এসেছে আরও কিছু তথ্য। ২০২১ সালে ভারতীয় উপমাহাদেশ বিশ্বের দূষিত দেশ গুলির মধ্য়ে প্রথম সারিতে ছিল। বিশ্বের দূষিত দেশগুলির মধ্য়ে ভারত পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষে বাংলাদেশ। পাকিস্থান তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
ভারতের গড় ২.৫ পিএম লেভেল স্তর ২০২১ সালে ৫৮.১ মাইক্রোগ্রাম বেড়েছে। বায়ুর গুণগতমান উন্নত করার জন্য চেষ্টার অবশ্য শেষ নেই। যদিও এটি ২০১৮ সালে ৭২.৫ মাইক্রোগ্রাম ছিল।
বায়ুদূষণের উপর ওই আন্তর্জাতিক রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, শীর্ষ দূষিত ৫ টি শহরের মধ্য়ে চারটিতেই স্থান পেয়েছে ভারত। রাজস্থানের ভিওয়াদি বিশ্বের দূষিত শহরগুলির শীর্ষ রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে একের পর এক ঝড়ে প্রচুর গাছ পড়ে মারা গিয়েছে। তার উপর গাছ কেটে বহুতল বাড়ি উঠছে। সবমিলিয়ে শহরের বায়ুকে রক্ষা করে যে, তার বিনাসে চরম ক্ষতি ডেকে আনছে মানুষই। তাই ইতিমধ্য়েই শহরের কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে একাধিক জায়গায় বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।
বায়ু দূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরি বলেছেন, দূষণের সম্ভাব্য উৎস গুলিকে খুঁজে বার করতে হবে। মূলত শহরের দূষণের উৎসস্থলগুলিই যদি প্রতিকার না হয়, দূষণ বাড়বে বই কমবে না।
কলকাতায় যান-বাহন থেকে নির্গত ক্ষতিকারক গ্যাস, কল-কারখানার গ্যাস, এসি মেশিনের একজস্ট গ্যাস সব মিলিয়ে শহরের বায়ুকে ভারী করে তুলেছে। তার উপর এই দূষণের মাত্রাই বেড়ে যায়, বাজি পোড়ানো হলেও।