ঘুমাতে যাওয়ার আগে রোজ এই ১০ কাজ করুন, বজায় থাকবে দাম্পত্য সুখ
বিয়ের প্রথম প্রথম সব ঠিক থাকলেও সময়ের সঙ্গে বদল হতে থাকে সম্পর্ক। দাম্পত্য জীবনের শুরুর কয়েক বছর যতটা সুখের হয়, পরে সেই সম্পর্ক বদল হতে থাকে। ঝগড়া, অশান্তি চলতেই থাকে। এক ছাদের তলায় থাকলেও যেন একে অপর আলাদা আলাদা থাকেন। দুজনেই নিজেদের কাজ নিয়ে অনেক সময় একটা ব্যস্ত হে যান, যে পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। এক এক সময় এই ঝগড়া বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়। প্রতিটি মানুষ অনেক স্বপ্ন নিয়ে সংসার বাঁধেন। কিন্তু, তা বিচ্ছেদ হোক কেউ চান না। আজ রইল ১০টি টোটকার হদিশ। এবার থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই কাজ করুন।
| Published : Jun 06 2022, 10:55 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সবার আগে অফিসের চিন্তা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। খাটে শুয়ে দুজন মিলে শুধুই অফিসের কথা বলে গেলেন এমন করবেন না। সাময়িক ভাবে এতে মন হালকা হলেও এতে সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়ে। এবার থেকে ভুলেও এই কাজ করবেন না। অফিসের কাজ আর অফিসের চিন্তা অফিসেই রেখে আসুন। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে।
মোবাইল রাখুন দূরে। বর্তমানে সবাই মোবাইলের ওপর অধিক নির্ভর করে থাকি। খাটে শুয়ে মোবাইল ঘাঁটি। সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটতে গিয়ে নিজের পরিবারকে ভুলে যাই। তাই রাতে মোবাইল নিয়ে শোবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের প্রোফাইল না ঘেঁটে পরিবারকে সময় দিন। স্ত্রীর সঙ্গে গল্প করুন। দুজনে ভালো সময় কাটান।
রুটিন মেনে চলুন রোজ। কখন উঠবেন, কখন খাবেন, কখন বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করবেন তো কখন স্ত্রীকে সময় দেবেন সব দিনের শুরুতে ঠিক করে নিন। রোজ রুটিন মেনে চলুন। তাহলে সব কাজ ব্যালেন্স হবে। অফিসে যতই কাজ থাকুক স্ত্রীকে সময় দিন। মনে রাখবেন, দাম্পত্য জীবন সুখের রাখা খুবই প্রয়োজন।
ভালো গল্প করুন রোজ। রাতে বেলা শুধু অফিস কিংবা পরিবারের প্রসঙ্গে কোনও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন না। এতে দুজনের সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়বে। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে শুধু নিজেদের জন্য সময় বের করুন। ভালো কোনও মুহূর্ত নিয়ে আলোচনা করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কোনও আলোচনা করবেন না।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তর্ক নয়। সব সময় মনে রাখুন এই কথা। ঘুমাতে যাওয়ার আগে তর্ক করা মোটেও ঠিক নয়। এই সময় ভালো মুহূর্তের আলোচনা করুন। ভালো সময়ের কথা বলুন। দাম্পত্য জীবনে ঝামেলা হতেই পারে। তাই বলে তা নিয়ে রাতে ঝগড়া করবেন না। এতে সম্পর্ক আরও খারাপ হবে।
শিশুদের আলাদা ঘর ঘুমাতে দিন। এই কথা অনেকেই মেনে চলেন না। শিশু একটু বড় হলে তার ঘর আলাদা করে দিন। আপনাদের দুজনের ব্যক্তিগত সময় শিশুকে আসতে না দেওয়াই ভালো। এতে দাম্পত্য জীবনে ভালো প্রভাব পড়বে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো থাকবে। নিজেদের সম্পর্ক ভালো রাখতে অবশ্যই এটা মেনে চলুন।
ধূমপান ও মদ্যপান করবেন না ঘুমানোর আগে। এই অভ্যেস শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনই সম্পর্কে খারাপ প্রভাব ফেলে। দাম্পত্য সম্পর্ক সুখের করতে চাইলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভুলেও মদ্যপান করবেন না। নিজেদের সম্পর্ক ভালো রাখতে অবশ্যই এটা মেনে চলুন। এই দুই অভ্যেস যত তাড়াতাড়ি পারবেন ত্যাগ করুন। তাতে আপনার সম্পর্কেই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
পোষ্যকে আপনার ঘরে শুতে দেবেন না। রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঘরে পোষ্য রাখা মোটেও উচিত নয়। এই কথা সব সময় মনে রাখুন। এতে দাম্পত্য সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়ে। ঘরে পোষ্য থাকলে দুজনের মন তার দিকেই থাকে। তাই পোষ্যকে যতই ভালোবাসুন না কেন, রাতে শোওয়ার ঘরে তাকে রাখবেন না।
দাম্পত্য সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল যৌন মিলন। সম্পর্কে যৌন চাহিদার গুরুত্ব দিন। এই চাহিদা উপেক্ষা করবেন না। যৌন চাহিদা পূরণ না হলে তার থেকে সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই দুজনই দুজনের এই চাহিদাকে গুরুত্ব দেবেন। সম্পর্ক ভালো রাখার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় এই কথা মাথায় রাখুন।
রাত জেগে অফিসের কাজ করতে ঘুমাতে মাঝ রাত। আবার সারাদিন কাজ কাজ। দুজনেই নিজেদের কাজ নিয়ে অনেক সময় একটা ব্যস্ত হে যান, যে স্ত্রীকে সময় দিতে পারেন না। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। এক এক সময় এই ঝগড়া বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়। এবার থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই কাজ করুন। এতে সম্পর্ক সুখের হবে।