যৌনতা নিয়ে কথা বলতেই লজ্জায় মুখ ঢাকেন, জানুন কীভাবে হতে হবে 'সেক্স পজিটিভ'
- FB
- TW
- Linkdin
যৌনতা নিয়ে সাধারণ মানুষের এখনও অনেক দ্বিধা দ্বন্ধ। তাহলে জানুন নিষিদ্ধতার গন্ধ পেরিয়ে কীভাবে হতে হবে সেক্স পজিটিভ। আসলে সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গি রাখার নামই সেক্স পজিটিভ।
ইন্টারনেটের দৌলতে অনেকেই ভাবেন, সেক্স পজিটিভের অর্থ সর্বক্ষণ যৌনতা নিয়ে আলোচনা করা। তবে এটা কিন্তু একেবারেই ভূল ধারণা।
ইতিবাতক ভঙ্গিতে যৌন স্বাস্থ্যের আলোচনা করা, পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখেই যৌন জীবন সম্পর্কিত কথা বাত্রা বলাই আসলে সেক্স পজিটিভিটি।
প্রথমেই বুঝতে হবে যৌনতা এবং যৌন জীবন নিয়ে আলোচনা করা মোটেই নিষিদ্ধ বিষয় নয়। সুস্থভাবে যৌনতার আলোচনা করলে যারা বাঁকা চোখে তাঁকান তাঁদের নীতি পুলিশিতে এই কথাটি মিথ্যে হয়ে যায় না।
ভালোবাসার প্রকাশেই হোক কিংবা প্রজননের চাহিদায় যৌন মিলন আর পাঁচটা বিষয়ের মতো স্বাভাবিক। নিজেই এই কথাটি মেনে চলুন, যারা ইতিমধ্যেই মেনে চলছেন তাঁদের সম্মান করুন।
বাইশ সালে পা দিয়ে যৌনতা নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পান অনেকেই। এদিকে দিব্যি ১০০ কোটি পেরিয়ে দিব্যি তরতরিয়ে ১৫০ কোটির দিকে এগোচ্ছে ভারত। কিন্তু এখনও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনও যৌনতাকে আড়ালে আবদালেই রেখে দিতে যান। তাই জড়তা কাটানোও সেক্স পজিটিভি।
দ্বিধা কাটাতে প্রথমে কথা বলতে পারেন বন্ধুদের মধ্যেই। দেখবেন আড্ডার ছলে কিংবা গল্পের ছলে বিষটি নিয়ে কথা বলতে বলতেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
কোন কথাটি বলার আর কোন কথাটি বলার মতন নয়, তারও ধারণা হয়ে যাবে। আপনি ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন সেক্স পজিটিভিটি কোনটা। বিষয় নিয়ে ধারণ স্পষ্ট হবে।
অনেক সময় অনেরকেই ডিজিট্যালাইজেশনের যুগে যৌন মিলন নিয়ে মুভি দেখেন কিংবা ই বুক পড়েন, কিন্তু পুরোটাই লুকিয়ে। এই লজ্জা থেকেই বেরিয়ে আসতে হবে। খোলামেলা আড্ডার মাঝেই মুভিও এনজয় করতে হবে।
সেক্স পজিটিভ কেবল মাত্র পারে দেশের জনসংখ্যার হার স্বাভাবিক রাখতে। অর্থনৈতিক অবস্থারও ভারসাম্য বজায় রাখতে। তাই সেক্স পজিটিভ হওয়াটা অবশ্য কাজের কথাই বটে।