- Home
- World News
- International News
- সূর্যে তৈরি হচ্ছে শক্তিশালী সৌরশিখা, বিশ্বজুড়ে নেমে আসতে পারে অন্ধকার
সূর্যে তৈরি হচ্ছে শক্তিশালী সৌরশিখা, বিশ্বজুড়ে নেমে আসতে পারে অন্ধকার
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের বিপদ নিয়ে নাজেহাল গোটা বিশ্ব। মাঝে মাঝে বিপদের আশঙ্কা তৈরি করছে ভূমিকম্প কিংবা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা গ্রহানুরাও। এবার ঈরও বড় বিপদ আসতে চলেছে আমাদের প্রাণের উত্তাপের উৎস সূর্য থেকে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন, একটি বিশাল 'সানস্পট' ক্রমে পৃথিবীর দিকে ঘুরছে। এতে করে তৈরি হতে পারে শক্তিশালী সৌরশিখা।
মহাকাশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয় স্পেসওয়েদার ডটকম। তারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শুরুতেই 'সানস্পট এআর ২৭৭০' নামে এই নতুন সানস্পটটি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সামনের কয়েকদিনে তার আকার আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উজ্জ্বল সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে যে কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চল তৈরি হয় তাকেই বলা হয় সানস্পট। আসলে এটি বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত গ্যাসের তৈরি একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র। সূর্যের অন্যান্য অংশের তুলনায় এই অঞ্চলের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে অনেক কম থাকে।
সানস্পটে চার্জযুক্ত গ্যাসগুলি ক্রমাগত ঘুরতে থাকে। এর ফলে ওই চৌম্বক ক্ষেত্রে অনিয়ম তৈরি হয়। চৌম্বকক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণেই সৌরশিখা তৈরি হয়।
বর্তমানে যে সানস্পটটি তৈরি হয়েছে, তা থেকে যে বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হতে পারে, তাতে সম্ভবত ৫০,০০০ কিলোমিটার ব্যাসের সৌর শিখা তৈরি হতে পারে। একে করোনাল মাস ইজেকশনস বা সিএমই বলা হয়। এর ফলে পৃথিবীর বিদ্যুত পরিচালনা এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস, কৃত্রিম উপগ্রহ, রেডিও সংযোগের মতো বিভিন্ন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন জাতীয় মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডল কর্তৃপক্ষ বা এনওএএ।
কারণ, সৌরশিখার জন্য মহাকাশে বিদ্যুত তরঙ্গ ফ্লাকচুয়েট করে বা এলোমেলো হয়ে যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে আটকে থাকা ইলেক্ট্রন এবং প্রোটনগুলিকে তা শক্তি যোগায়।
কীভাবে এই নয়া সৌরজাগতিক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, চাই নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তবে হাতে সময় বড়ই কম।