- Home
- World News
- International News
- প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে মরিয়া ট্রাম্পের ঘোষণা, ৩ নভেম্বরের আগেই ভ্যাকসিন পাবেন আমেরিকাবাসী
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে মরিয়া ট্রাম্পের ঘোষণা, ৩ নভেম্বরের আগেই ভ্যাকসিন পাবেন আমেরিকাবাসী
- FB
- TW
- Linkdin
প্রতিদিনই বিশ্বে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা । এরপরও এখন পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব হয়নি। অবশ্য বিজ্ঞানীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই ভ্যাকসিন আসছেন বলে আশ্বস্তও করেছন গবেশকদের একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতেই করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভ্যাকসিন আসার সময়কাল নিয়ে মুখ খুললেন।
আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই মহামারী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জিরাল্ডো রিভেরা রেডিও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩ নভেম্বরের আগেই এই ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব।
ট্রাম্প বলেন, সম্ভবত ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন থাকবে। হোয়াইট হাউসের নিজস্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনার টিকা আসার সময় নিয়ে যে পূর্বাভাস দিয়েছেন, ট্রাম্প এর চেয়েও বেশি আশার কথা শুনিয়েছেন এদিন দেশবাসীকে।
হোয়াইট হাউসের বিশেষজ্ঞরাও এত দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা কখনোই বলেননি। করোনভাইরাসের মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়েপড়া অর্থনীতির মধ্যেই দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জেরাল্ডো রিভেরা রেডিও প্রোগ্রামে তাঁকে কবে টিকা আসবে, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘এ বছর শেষ হওয়ার আগে টিকা আসবে। এমনকি তার আগেও চলে আসতে পারে।’
৩ নভেম্বরের আগে টিকা আসবে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে আমি মনে করি, তার আগেই বা ওই সময়ের মধ্যেই টিকা চলে আসবে।’
পরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, ‘৩ নভেম্বরের আগেই ভ্যাকসিন আসার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।’ ওই সময়ে ভ্যাকসিন এলে নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা পাবেন কি না, সে সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা আমি নির্বাচনের জন্য করছি না। অনেকের জীবন বাঁচাতে চাই।’
করোনা মহামারী বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকেও ধাক্কা দিয়েছে। এর মধ্যেই পুনর্নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চাইছেন ট্রাম্প।
দেশটিতে করোনায় মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও ট্রাম্প সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চাপ দিচ্ছেন স্কুল খুলে দিতে।
দেশটির সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অবশ্য দ্রুত ভ্যাকসিন আনতে গিয়ে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিকগুলো উপেক্ষা না করার পক্ষে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউচি দাবি করেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে ভ্যাকসিন দ্রুত সামনে আনতে গবেষকদের ওপর কোনও ধরনের রাজনৈতিক চাপ নেই। ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে ফাউচি বলেন, এই বছরের শেষ নাগাদ অন্তত একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো কার্যকরী ভ্যাকসিন বাজারে না এলেও এ নিয়ে পুরোধমে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। ট্রায়ালের পর ট্রায়াল চলছে। বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০০টি ভ্যাকসিনের ধাপে ধাপে ট্রায়াল চলছে। এরমধ্যে সংশ্লিষ্ট সবাই আশাবাদী ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটিকে নিয়ে।