- Home
- World News
- International News
- ফের ভারতীয়দের বিপাকে ফেললেন ট্রাম্প, এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় আর কাজ পাবেন না তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা
ফের ভারতীয়দের বিপাকে ফেললেন ট্রাম্প, এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় আর কাজ পাবেন না তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা
- FB
- TW
- Linkdin
এবছরটা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর। তাই বিদেশি কর্মীদের আমেরিকার কাজের বাজার দখল থেকে বিরত রেখে মার্কিনিদের মন জিততে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত ২৩ জুন ট্রাম্প প্রশাসন এইচ-১বি ভিসা সহ অন্যান্য বিদেশি কর্মী ভিসা সাসপেন্ড করে। ২০২০-র শেষ পর্যন্ত এই সাসপেনশনের নির্দেশ জারি থাকবে বলে জানান তিনি।
অনেক ভারতীয় আইটি কর্মী এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় গিয়ে কাজ করছেন। আমেরিকার প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলি প্রতি বছর ভারত এবং চিন থেকে হাজার হাজার আইটি কর্মী নিয়োগ করে। এবার সে পথ সংকীর্ণ করে দিল হোয়াইট হাউস।
নয়া নির্দেশে সই করার আগে হোয়াইট হাউসের ওভাল কার্যালয় থেকে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, "আমেরিকাবাসীরা যাতে আমেরিকায় ভালভাবে বসবাস করতে পারেন সে বিষয় নিশ্চিত করার জন্য নয়া নির্দেশিকায় সই করছি।"
করোনা আবহে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মন্দা। বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। সেখানে বিদেশি কর্মীদের সঙ্গে যাতে আমেরিকানদের প্রতিযোগিতা না করতে হয় তার জন্যই এই নির্দেশিকা। এমনটাই ইঙ্গিত মিলছে হোয়াইট হাউস থেকে।
ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তাঁর ভিসা নীতি স্পষ্ট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নাগরিকদের কাজের সুযোগ দেওয়ার বদলে বিদেশ থেকে পেশাদার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী আনার ক্ষেত্রে তাঁর যে আপত্তি রয়েছে, তা জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
ট্রাম্পের নয়া নীতি কার্যকর হলে এইচ-১বি ভিসায় কর্মরত বিদেশিদের চুক্তি বাতিল সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি, এইচ-১বি ভিসায় বিদেশি নিয়োগের প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যাবে।
গত ২৩ জুন মার্কিন নাগরিকদের বেশি বেতনের চাকরিতে সুযোগ দেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে এইচ-১বি ভিসা নীতি বদল করার কথা জানিয়েছিল ট্রাম্প সরকার। সোমবার ট্রাম্পের সই করা প্রশাসনিক নির্দেশ জানাচ্ছে, ২৪ জুন থেকেই এইচ-১বি ভিসা সংক্রান্ত নয়া নীতি কার্যকর হচ্ছে।
আগের বছরগুলিতে মার্কিন সংস্থাগুলির ৭০ শতাংশই ছিলেন এইচ-১বি ভিসায় আগত ভারতীয়রা। নির্দেশিকা কায়েম হলে সে সংখ্যায় এবছর বদল আসবে।
হোয়াইট হাউসের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ নিয়োগকর্তাদের এইচ -১ বি ভিসার অপব্যবহার রুখবে। যোগ্য মার্কিন কর্মীদের বদলে বিদেশ থেকে সস্তায় কর্মী নিয়ে আসার জন্য মোটেই এই ভিসার অনুমোদন করা হয়নি, স্পষ্ট জানায় তাঁরা।
সম্প্রতি মার্কিন সংস্থা টেনেসি ভ্যালি অথরিটি তাদের ২০ শতাংশ কাজ আউটসোসিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার জেরে প্রায় ২০০ মার্কিন কর্মীর ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ট্রাম্পের অভিযোগ, করোনা অতিমারির আবহে এমন পদক্ষেপ কাম্য নয়। এমন ঘটনা রুখতে ভবিষ্যতে অভিবাসন নীতি সংশোধন সংক্রান্ত নতুন বিল নিয়ে আলোচনার কথাও বলেছেন তিনি।
ইমিগ্রেশন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, এখন থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন হবে এবং আইন মেনে মার্কিন মুলুকে কাজ করতে হবে।
এদিকে আগামী নভেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আমেরিকায় এই নির্বাচনের বছরে সেখানকার কাজের বাজার শুধুমাত্র মার্কিনীদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে এই পদক্ষেপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী তথা দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি অনলাইন সমাবেশে বলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে ফের এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হবে আমেরিকায় বিদেশি নাগরিকদের কাজ করার জন্য।