- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- বাদ পড়ছেন অনেক বর্তমান বিধায়কই - তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার শর্ত কী, জানুন ভিতরের খবর
বাদ পড়ছেন অনেক বর্তমান বিধায়কই - তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার শর্ত কী, জানুন ভিতরের খবর
নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে জারি হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধিও। প্রথম ভোটটগ্রহণ শুরু ২৭ মার্চ থেক। কাজেই হাতে আর ১ মাসও সময় নেই। কিন্তু, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি, বা এই মুহূর্তে ক্রমশ ডার্ক হর্স হয়ে ওঠা সংযুক্ত মোর্চা - কোনও পক্ষই এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। তবে খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বলে শোনা যাচ্ছে। দফা অনুযায়ীই তারা এবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। তবে এইবার শাসক দলের বেশ কয়েকজন বর্তমান বিধায়কই আর টিকিট পাবেন না, এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে।
- FB
- TW
- Linkdin
ওই সূত্র জানিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস তাদের প্রার্থী তালিকা থেকে এইবার বেশ কয়েকজন বর্তমান বিধায়ককে ছেঁটে ফেলতে চলেছে। তালিকায় স্থান দেওয়া হবে আরও বেশি যুবক, মহিলা এবং এলাকায় পরিষ্কার ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, এমন নেতাদের।
ইতিমধ্য়েই তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ১২ সদস্যের নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে। সোমবার বিকেলেই
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে এই কমিটির বৈঠক বসেছিল। সেখানেই প্রার্থী তলিকা তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়।
এদিনের তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
দলীয় সূত্র মতে, ২৯৪টি আসনের প্রায় ৩০ শতাংশ আসনেই নতুন প্রার্থী দেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে পদত্যাগ করে বিজেপিতে যাওয়া ১৯ জন বিধায়কের আসনগুলিও থাকবে। ৭৫ ঊর্ধ্ব বয়সী বিধায়কদেরও বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে, প্রত্যেক বিধায়ক এবং তাদের নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাক'এর রিপোর্ট।
টিকিট পাওয়ার মূল প্যারামিটারগুলি হল -
১) বিগত পাঁচ বছরে বিধায়কদের পারফর্ম্যান্স
২) এলাকায় তাদের ভাবমূর্তি
৩) এলাকাবাসীর কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা
গত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকার প্রায় ৩৩ শতাংশ ছিলেন মহিলা। এবার মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে দলের সূত্র।
গত বিধানসভা ভোটে ২৯৪ আসনেরর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছিল ২১১ আসনে। বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ৭৭টি আসন। আর বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ৩টি আসন। এইবার অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে বিজেপি।