জিতাষ্টমীর দিন থেকে দুর্গোৎসব শুরু রাজবাড়িতে, উৎসবের আমেজ পুরুলিয়ায়
করোনা আতঙ্কের মাঝে দেবী দুর্গার আবাহন। চিরাচরিত রীতি মেনে জিতাষ্টমীর ব্রত পালন করলেন বাড়ির মহিলারা। একমাস আগে থেকেই দুর্গাপুজোও শুরু হয়ে গেল পুরুলিয়ার কাশিপুর রাজবাড়িতে।
- FB
- TW
- Linkdin
কেউ বলেন ইন্দ্রের পুজো, তো কারও মতে আবার পুজিত হন সূর্য। দিনভর উপবাসে থেকে জিতাষ্টমী বা শ্রী শ্রী জিমূতবাহের ব্রত রাখেন বাড়ির মহিলারা। সন্তানদের দীর্ঘায়ু কামনা করে এই ব্রত পালন করা হয়।
পুরুলিয়া জেলার লোক উৎসবগুলি মধ্যে অন্যতম এই জিতাষ্টমী। স্থানভেদে অবশ্য ব্রতপালনের নিয়মও বদলে যায়। পুজো শেষে প্রদীপ জ্বালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। আর মাঝপথে প্রদীপ নিভে যাওয়া অশুভ বলে মনে করা হয়।
এলাকার কোনও পুকুর বা বড় জলাশয়ে ধান, আঁখ ও বটগাছের ডাল একসঙ্গে বেঁধে পুজো করেন মহিলারা। পাশে রাখা থাকে শিয়াল ও শকুন। বলা হয়, আগের দিনে শিয়াল ও শকুন সংখ্যা বাড়লে না মহামারি দেখা দিত! সেই বিশ্বাস থেকে এই প্রাণী দুটিকে দূরে পাঠিয়ে মহিলারা সন্তানদের মঙ্গলকামনা করেন।
জিতাষ্টমীর সঙ্গে দুর্গাপুজোর কি সম্পর্ক? প্রতিবছর শ্রী শ্রী জিমূতবাহনের পুজোর ঠিক পনেরো দিন পর শুরু হয় দুর্গোৎসব। এবার আশ্বিন মাস মলমাস। তাই শারদোৎসবও পিছিয়ে গিয়েছে।
জিতাষ্টমীর একমাসের কিছু সময় পর হবে দুর্গাপুজো। কিন্তু ঘটনা হল, চিরাচরিত নিয়মে শুক্রবার, জিতাষ্টমীর দিন থেকে পুজো শুরু হয়ে গেল পুরুলিয়া শহরের বাগাল বাবার আশ্রম ও কাশিপুর রাজবাড়িতে।