পরিযায়ীদের নিয়ে আতঙ্ক নয়, পাখিদের আগমনে খুশির হাওয়া রায়গঞ্জে
করোনা আতঙ্কে ভিড় বাড়ছে পরিযায়ীদের। শ্রমিক নয়, দূর দূরান্ত থেকে পাখিরা আসতে শুরু করেছে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীবনিবাসে। বনদপ্তরের আশা, অনুকূল আবহাওয়ার জন্য এবার রেকর্ড সংখ্যক পাখি আসবে। উচ্ছ্বসিত পরিবেশপ্রেমীরা ও সাধারণ মানুষও।

করোনা আতঙ্কে ঘরবন্দি মানুষ। লকডাউনের জেরে দূষণের মাত্র কমেছে অনেকটাই। বর্ষা আসতেও আর খুব বেশি দূরে নেই। প্রকৃতি যেন আপন রূপে ধরা দিয়েছে।
রায়গঞ্জের শহরের একেবারেই লাগোয়া কুলিক পক্ষীনিবাস। তিনটি মৌজা মিলিয়ে তিনশো একরেরও বেশি জমিতে পাখিদের অবাধ বিচরণ। এই কুলিক পক্ষীনিবাস এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম।
প্রতিবছর বর্ষার সময়ে অর্থাৎ জুন-জুলাই মাস নাগাদ উত্তর-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে পরিযায়ী পাখির দলে চলে আসে রায়গঞ্জে, কুলিক পক্ষীনিবাসে।
সেখানে ডিম পাড়ে পরিযায়ী পাখিরা। ছানাদের যতদিন না উড়তে শিখছে, ততদিন পর্যন্ত কুলিক পক্ষীনিবাসে থাকে মা। ডিসেম্বর মাসে ফের পাখিরা ফিরে যায়।
২০১১ সালে কুলিকে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিবছর সংখ্যা বাড়ছিল। আর এবার লকডাউনের বাজারে সময়ের অনেক আগেই পাখির কলবর শোনা যাচ্ছে। খুশি সকলেই।