বাংলায় এই প্রথম, ধবধবে সাদা বিরল প্রজাতির হাঁসের দেখা মিলল বারুইপুরে
- FB
- TW
- Linkdin
যে পাখি সচারাচর ভারতবর্ষে দেখা যায় না সেই পাখির দেখা পাওয়া গেল বারুইপুরে। সোমবার দিনভর টংতলা মাঠে দেখা যায় পাখিটি। মঙ্গলবার ভোর হতেই উড়ে চলে যায় সাগরের দিকে। বন দফতরের তরফে গতকাল পাখিটির উপর নজর রাখা হয়।
মঙ্গলবার সকাল হতেই উড়ে যায় পাখিটি। কীভাবে পাখিটি ওই এলাকায় এসে পৌঁছে ছিল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। বারুইপুরের একাধিক এলাকায় বন দফতরের কর্মীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন এই প্রজাতির আরও পাখি আছে কিনা সেই খোঁজে।
এই পাখি সচরাচর দেখা যায় না এই এলাকায়। বহু আগে অনেক ধরনের পরিযায়ী পাখিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ওই এলাকায় দেখা যেত। কিন্তু, বহু বছর ধরে তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। অবশেষে এবার তাদের দেখা মিলল এক রাজহাঁসের। আর তার দেখা পাওয়া মাত্রই তাকে ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই।
সাধারণত বারুইপুরে এই পাখির দেখা পাওয়া যায় না। বন দফতরের অনুমান, দলছুট হয়ে এই প্রজাতির পাখিটি কোনওরকমে বারুইপুরে চলে এসেছে। তাদের দলের বাকি পাখিরা এই আশপাশের এলাকার কোথাও আছে কিনা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। তবে আজ সকাল হতেই সাগরের দিকে উড়ে যায় পাখিটি।
এই আদতে বিরল প্রজাতির একটি রাজহাঁস। যার দেখা পাওয়া গিয়েছে কলকাতার খুব কাছেই। এই হাঁসের নাম মিউট সোয়ান (Mute Swan)। ধবধবে সাদা আর তার সঙ্গে কমলা রঙের ঠোঁট। একেবারে চোখ ফেরানো যায় না এত রূপ। এই হাঁসের দেখা সাধারণত বাংলায় পাওয়া যায় না। তবে এবার সেই সৌভাগ্য হয়েছে রাজ্যবাসীর।
এক পক্ষীপ্রেমিক বলেন, এর আগে বাংলায় মিউট সোয়ান দেখা যায়নি। গুজরাট ও অসমে দেখা গিয়েছিল আগে। তবে এবার বাংলায় এই পাখির দেখা পাওয়া গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, দলছুট হয়ে কোনওরকমে সে ওই এলাকায় চলে আসে।
মিউট সোয়ান মূলত রাশিয়া, চিন, মঙ্গোলিয়াতে দেখতে পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডেও কিছু পরিমাণে এই রাজহাঁস রয়েছে। সাধারণত পার্কে, লেকে, ব্য়ক্তিগত সংগ্রহে এগুলি থাকে। আর এবার সেই বিরল প্রজাতির রাজহাঁসের দেখা মিলল কলকাতা থেকে কিছুটা দূরে বারুইপুরে।
এই পাখি গুজরাটের জামনগরে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন এক বায়োলজিস্ট। তিনি বলেন, এর আগে গুজরাতের জামনগরে এই হাঁস দেখা গিয়েছিল। মনে হচ্ছে এটা সেই পাখিটাই। চিড়িয়াখানা থেকে এটি পালিয়ে এল কি না বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে পাখিটির কথা জানাজানি হতেই সেখানে ভিড় করতে শুরু করেন অনেকেই। তার ছবি ক্যামেরাবন্দীও করেন। তবে কেউ যাতে পাখিটির ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য এই এলাকায় কড়া নজরদারি চালান বনকর্মীরা।