সংক্ষিপ্ত
যদিও ডেঙ্গু যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে, কিন্তু শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব দ্রুত হয়। ডেঙ্গুতে, প্লেটলেট ক্রমাগত কমতে শুরু করে, যার কারণে রোগটি মারাত্মক হয়ে ওঠে। ডেঙ্গুর লক্ষণ সাধারণত ২-৭ দিন স্থায়ী হয়।
বর্ষায় ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল সংক্রমণের পাশাপাশি এই মৌসুমে মশাবাহিত অনেক রোগ আসতে শুরু করে। এসব মারাত্মক রোগের মধ্যে ডেঙ্গু অন্যতম, যার কারণে প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই রোগীর ভিড়। ডেঙ্গু মারাত্মক রোগে পরিণত হতে পারে। এমতাবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের পাশাপাশি ডেঙ্গুর উপসর্গ চিনতে ও সময়মতো চিকিৎসা করা বাঞ্ছনীয়।
যদিও ডেঙ্গু যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে, কিন্তু শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব দ্রুত হয়। ডেঙ্গুতে, প্লেটলেট ক্রমাগত কমতে শুরু করে, যার কারণে রোগটি মারাত্মক হয়ে ওঠে। ডেঙ্গুর লক্ষণ সাধারণত ২-৭ দিন স্থায়ী হয়। শিশুরা প্রায়ই বাড়ির বাইরে খেলতে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা সহজেই ডেঙ্গুর শিকার হতে পারে। শিশুদের ডেঙ্গুর উপসর্গ চিনতে পারলে সময়মতো তা করা যেতে পারে। জেনে নিন শিশুদের ডেঙ্গুর লক্ষণ।
শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ
প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ হালকা। শিশুদের মধ্যে, ডেঙ্গুর লক্ষণগুলি ভাইরাল ফ্লুর মতোই।
১. শিশুদের জ্বর হতে পারে, যা এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।
২. ডেঙ্গুর কারণে খিটখিটে ভাব, অলসতা, মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া, ত্বকে ফুসকুড়ি এবং শিশুদের দিনে তিনবারের বেশি বমি হতে পারে।
৩. ডেঙ্গুতে কিছুক্ষণ পর পর বাচ্চাদের প্রচণ্ড জ্বর হতে পারে।
৪. পাঁচ বছরের ওপরের শিশুরা চোখের ব্যথা, পেশী ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা এবং তীব্র মাথাব্যথার কথা জানাতে পারে।
ডেঙ্গুর চিকিৎসা
আপনার সন্তানের জ্বর হলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।
ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ একই রকম, তাই ডাক্তার ডেঙ্গু শনাক্ত করার জন্য রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন।
ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল বা জয়েন্টের ব্যথা উপশম ও জ্বর কমানোর জন্য কিছু ওষুধ দিতে পারেন।
ডেঙ্গু প্লেটলেটের মাত্রা কমিয়ে রক্তপাত ঘটাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের কোনো ধরনের পেনকিলার বা আইবুপ্রোফেন দেবেন না।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যবস্থা
ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে বর্ষাকালে শিশুদের ঘর থেকে বের করবেন না।
বর্ষায় শিশুদের ফুলহাতা পোশাক পরুন।
ঘর পরিষ্কার রাখুন। মশা নিরোধক ব্যবহার করুন।
সন্ধ্যায় দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন।
ঘরে জল জমা রাখবেন না। তার থেকে মশা আসে।