সংক্ষিপ্ত
৩৭০ ধারা বাতিলের সময় কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতদের ঘরবাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল মোদী সরকার। ২ বছরে সেই কাজ কতদূর এগোলো?
১৯৯০-এর দশকের গোড়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্ত্রাসবাদী হিংসায় উপত্যকা ছেড়ে পালাতে হয়েছিলেন দলে দলে কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিত। ৩৭০ ধারা বাতিল করার সময়ে এই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘর ফিরিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তারপর থেকে ২ বছর কেটে গিয়েছে। নিজেদের কতা কতটা রাখতে পেরেছে তারা? বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংসদে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্টের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি সম্পত্তি, তাদের আসল হিন্দু মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন শিবসেনা সাংসদ অনিল দেশাই। জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই তথ্য দেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে কাশ্মীর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি কাশ্মীরি হিন্দু পরিবারের হাতে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি তুলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে মোদী সরকার। ১৯৯৭ সালের জম্মু কাশ্মীর অভিবাসী স্থাবর সম্পত্তি (সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও সংকটে বিক্রয়ের উপর সংযম) আইন মোতাবেক, জম্মু ও কাশ্মীরের জেলাশাসকরা অভিবাসীদের স্থাবর সম্পত্তির আইনানুগ হেফাজতকারী। তাই, অভিবাসীরা চাইলে জেলাশাসককে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাতে পারেন।
কাশ্মীরি পণ্ডিত সংগ্রাম সমিতি বা কেপিএসএস (KPSS)-এর অনুমান অনুযায়ী, ১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৭৫,৩৩৪ টি কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার বাস করত। এর মধ্যে পরের দুই বছরে ৭০,০০০-এরও বেশি মানুষ পালিয়ে গিয়েছিল। কাজেই তাদের ঘর ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াটিও যতেষ্ট জটিল, তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন - ভারতের প্রথম মহাকাশ পর্যটক হতে চলেছেন কেরলের এই ব্যবসায়ী, খরচ করেছেন ১.৮ কোটি টাকা
আরও পড়ুন - Nirbhay Cruise Missile - সফল দেশি ইঞ্জিন, তাও মাঝপথে পড়ে গেল ডিআইডিওর ক্ষেপণাস্ত্র
মন্ত্রী দাবি করেন, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর, কাশ্মীরি অভিবাসীরা ২০১৫ সালের প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্যাকেজ-এর অধীনে চাকরি নিতে দলে দলে উপত্যকায় ফিরে আসছেন। ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে বাইরেল রাজ্যের মানুষও জম্মু ও কাশ্মীরে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে পরেন। মঙ্গলবার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংসদকে জানিয়েছিল, দুই বছর আগে আইন পরিবর্তনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে মাত্র দুজন লোক সম্পত্তি ক্রয় করেছেন।