মাত্র তিন বছর আগে দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারের প্রধান কেরজিওয়াল ঘোষণা করেছিলেন দিল্লিতে দিল্লিতে কয়লা ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

কয়লা সংকটকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তপ্ত জাতীয় রাজধানী দিল্লি (Delhi)। শনিবারই দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন সেই রাজ্যে কয়লার ঘাটতি তুঙ্গে। আর মাত্র এক দিন পরেই গোটা দিল্লি অন্ধকারে (power crisis) তলিয়ে যাবে। গোটা ব্যবস্থাকে তিনি করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ের অক্সিজেন সংকটের সঙ্গেও তুলনা করতে পিছপা হননি। রবিবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসৌদিয়াও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন। তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার সমস্যার সমাধান না করে পালানোর পথ খুঁজছে। যাইহোক এদিন অবশ্য কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরকে সিং জানিয়েছেন কয়লার কোনও ঘাটতি নেই। মজুত কয়লা শেষ হলেই তা পুরণ করা হবে। অযোথা আতঙ্কিত হতেও তিনি বারন করেছেন। কিন্তু এটা বলার অপেক্ষা রেখে না যে কয়লা নিয়ে দেশে রাজনীতি চলছে। 

Scroll to load tweet…

এবার চলুন অতীতে। সেখানেই রয়েছে কয়লা-রাজনীতির বীজ। বেশি পুরণো নয়। মাত্র তিন বছর আগে দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারের প্রধান কেরজিওয়াল ঘোষণা করেছিলেন দিল্লিতে দিল্লিতে কয়লা ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হবে। দূষণ মুক্ত করার লক্ষ্য দিল্লিতে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা ডিজেল জেনারেটরের ব্যবহারও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেই সময়। পাশাপাশি ঘোষণা করা হয়েছিল দিল্লি প্রথম মডেল রাজ্য যেখানে কয়লা চালিত বিদ্যুৎ নেই। তিন বছর আগে আর্থাৎ ১০ অক্টোবর ২০১৯ সালের আপের টুইটার হ্যান্ডেল সার্চ করলে এজাতীয় ৭টি টুইট পাওয়া যাবে। যেখানে একই দিনে কয়লার ব্যবহার নিয়ে পরপর টুইটগুলি করা হয়েছিল।

Scroll to load tweet…

বর্তমানে এই টুইটগুলি নেটিজেনদের কাছে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেক নেটিজেনই আপ সরকারের কাজের আর কথার মধ্যে ফারাকের সমালোচনা করেছেন। তাঁদের দাবি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তিন বছর আগে একরকম কথা বলেছিলেন। এখন সম্পূর্ণ পাল্টি খেয়ে অন্য কথা বলছেন। গোটা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকেই দায়ি করছেন তিনি।