সংক্ষিপ্ত

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে করে ইউক্রেনে আটকে থাকা প্রায় ২৫০ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল ভারতের। কিন্তু, রাশিয়া ইউক্রেনের আকাশপথ দখল করার পর থেকেই সেখানে যাত্রীবাহী বিমানের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই ভারতীয়দের না নিয়ে কার্যত মাঝ আকাশ থেকে ফাঁকা বিমান নিয়েই দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানকে। 

যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইউক্রেনে (Ukraine)। পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া (Russia) সেনা অভিযান শুরু করার পরই যুদ্ধ পরিস্থিতি (War Situation) তৈরি হয়েছে সেখানে। এদিকে সেখানে আটকে রয়েছে একাধিক ভারতীয় (India)। তাঁদের উদ্ধার করতে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Plane) বিমান। কিন্তু, ভারতীয়দের না নিয়ে মাঝ আকাশ থেকেই ফিরতে হল বিমানকে। কারণ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরই সেখানে যাত্রীবাহী বিমানের জন্য আকাশপথ (Airspace) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে করে ইউক্রেনে আটকে থাকা প্রায় ২৫০ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল ভারতের। কিন্তু, রাশিয়া ইউক্রেনের আকাশপথ দখল করার পর থেকেই সেখানে যাত্রীবাহী বিমানের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই ভারতীয়দের না নিয়ে কার্যত মাঝ আকাশ থেকে ফাঁকা বিমান নিয়েই দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানকে। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি (Delhi)। তৈরি রাখা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাকেও (Indian Air Force)।  

আরও পড়ুন- বেসমেন্ট ভরে গিয়েছে ছোট ছোট বাচ্চায়, টুইট কিয়েভের গার্ডিয়ান সাংবাদিক লুক হার্ডিং-এর

এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য কিয়েভে যাচ্ছিল বিমান এআই১৯৪৭। তারই মধ্যে যাত্রীবাহী বিমানের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ইউক্রেনের আকাশপথ। সেই পরিস্থিতিতে ইরানের আকাশপথ থেকেই মুখ ঘুরিয়ে দিল্লিতে ফিরে আসছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান। ভারতীয়দের ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আগামীকাল, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এবং রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) যে বিশেষ বিমান কিয়েভে যাওয়ার কথা ছিল, সেগুলি যাবে কিনা, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: রাশিয়ার যুদ্ধ ঘোষণার পরই হুঁশিয়ারি ব্রিটেনের, ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা জনসনের

'সেফ এয়ারস্পেস'-এর তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ইউক্রেনের আকাশপথে যাত্রীবাহী বিমানকে নিশানা করার আশঙ্কা আছে। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে (এটিসি) সাইবার হামলার আশঙ্কাও রয়েছে। যা যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সেই কারণেই আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর তার জেরেই ফাঁকা বিমান নিয়েই ইরানের আকাশপথ থেকেই দিল্লিতে ফিরছে এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান।  
 
ইউক্রেনে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় থাকেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া। গত কয়েকদিনে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই একাধিক বিমানে করে বেশ কিছু ভারতীয়কে সেখান থেকে দেসে ফেরানো হয়েছে। এমনকী, বৃহস্পতিবারও একটি বিমান দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছে। এরপরও একটি বিমানের সেখান থেকে ভারতীয়দের ফেরানোর কথা ছিল। কিন্তু, ইউক্রেনে পৌঁছানোর অনেক আগেই মাঝ আকাশ থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানকে। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করার পর থেকেই পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে উঠেছে।  

আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের সমস্যাটা কোথায়, কী কারণে আক্রমণ করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

কিন্তু কিছুক্ষণ পরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণার জেরে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়। কিয়েভ, খারকিভের মতো ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রাজধানী কিয়েভে বেজে ওঠে সাইরেন। সেই পরিস্থিতিতে যাত্রীবাহী বিমানের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ইউক্রেনের আকাশপথ।

স্থানীয় সময় অনুসারে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার কিছুটা আগে টেলিভিশন বার্তায় পুতিন বলেন, "আমি সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" ইউক্রেনের বাহিনীকে অস্ত্র ছাড়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়াকে পুতিন হুঁশিয়ারি দেন, যে দেশ সেই ‘সামরিক অভিযানে’ হস্তক্ষেপ করবে, তাদের ফল ভুগতে হবে। তাঁর অভিযোগ, ইউক্রেনকে ন্যাটোয় (NATO) যোগদান থেকে বিরত করার যে দাবি করছিল ক্রেমলিন, তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ করেনি আমেরিকা এবং বন্ধু রাষ্ট্রগুলি। সেই পরিস্থিতিতে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা করলে ইউক্রেনকে দখল করার কোনও ইচ্ছা নেই বলে দাবি করেছেন পুতিন। এই কথা ঘোষণার পর থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইউক্রেনে।