সংক্ষিপ্ত
- দিল্লি নির্বাচন নিয়ে আত্মসমালোচনা অমিত শাহের
- গুলি মারার কথা বলা উচিত হয়নি, দাবি অমিতের
- দল এমন মন্তব্য সমর্থন করে না বলেও দাবি
শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের গুলি মারা, দিল্লি নির্বাচনের সঙ্গে ভারত পাক ম্যাচের তুলনা টানার মতো মন্তব্যের জেরেই রাজধানীতে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। দিল্লিতে ভরাডুবির পরে কার্যত স্বীকার করে নিলেন অমিত শাহ।
যদিও দলীয় নেতা কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজেপি শুধুমাত্র জয় পরাজয়ের কথা মাথায় রেখে নির্বাচনে লড়ে না। বরং তাদের উদ্দেশ্য থাকে নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের মতাদর্শকে ছড়িয়ে দেওয়া।
অমিত শাহ অবশ্য স্বীকার করেছেন, দিল্লি নির্বাচনে 'গুলি মারা', 'ভারত পাকিস্তান ম্যাচ'- এর প্রসঙ্গ টেনে আনা উচিত হয়নি। তাঁর দাবি, মন্ত্রী- সাংসদদের এই ধরেনর মন্তব্যের দায় দল নেয়নি। এই ধরনের মন্তব্য দলের ভরাডুবির অন্যতম কারণ বলেও দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার স্বীকার করে নেন অমিত শাহ।
দিল্লি নির্বাচনের প্রচারপর্বে বার বার শাহিনবাগ আন্দোলনকে বিতর্কিত আক্রমণ করেছেন বিজেপি-র মন্ত্রী, সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের গুলি মারার নিদান দিয়েছিলেন। সেই কারণে তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। আবার বিজেপি সাংসদ প্রবেশ শর্মা আবার দিল্লির নির্বাচনের সঙ্গে ভারত পাকিস্তান ম্যাচের তুলনা টেনেছিলেন। বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র আবার শাহিনবাগকে মিনি পাকিস্তান বলেছিলেন।
দিল্লিতে হারের পরে অমিতের রণকৌশল প্রশ্নের মুখে পড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, দিল্লি নির্বাচন নিয়ে তাঁর অনুমান ভুল প্রমাণিত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাঁর মানে এই নয় যে এই রায় নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে।
দিল্লি নির্বাচনে দল ধরাশায়ী হলেও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে তাদের অবস্থান বদলাচ্ছে না, তা স্পষ্ট করেছেন অমিত শাহ। বরং নাগরিকত্ব আইনের প্রচারে মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে চাইছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এ দিন দাবি করেছেন, 'নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে যে কেউ আমার অফিস থেকে সময় চাইতে পারেন। তিন দিনের মধ্যে আমি তাঁকে সময় দেব।'