ভাইজাগে নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।
১৯৮৪ সালের ৩ ডিসেম্বর ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল বহু প্রাণ। পরবর্তী সময়ে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে পঙ্গু হয়েছিলেন অনেকেই। তিন দশক পার করে সেই ভয়াবহ স্মৃতি এবার ফিরে এল অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিশাখাপত্তনমের অদূরে গোপালপত্তনমে ‘এলজি পলিমার্স ইন্ডিয়া’ নামের একটি সংস্থার রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হতে শুরু করে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যাদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৫০০০ হাজারের বেশি মানুষ।
ভাইজাগে নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।
ভাইজাগ গ্যাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি অসুস্থদের দেখতে কিং জর্জ হাসাপাতালে যান।
এলজি পলিমারস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দায়ের হয়েছে এফআইআর।
পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিশাখাপত্তনমে গ্যাস লিকের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিকে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশাপত্তনমের পাশে থাকার বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
পাশে থাকার বার্তা রাহুল গান্ধী।
পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অমিত শাহ।
বিশাখাপত্তনমে গ্যাস লিকের ঘটনায় সবার সুরক্ষা চেয়ে প্রার্থনা করলেন রাষ্ট্রপতি।
ভাইজাগের গ্যাস লিকের ঘটনায় এনডিএমএর সঙ্গে মোদীর বৈঠক। হাজির রাজনাথ সিং ও অমিত শাহও।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সব করম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
গ্যাস লিকের ঘটনায় স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । প্রধানমন্ত্রী টুইটে লেখেন, "বিশাখাপত্তনমের পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, ওরা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছেন। আমি বিশাখাপত্তনমের প্রত্যেকের সুরক্ষা ও মঙ্গল কামনা করি।"
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই কারখানা থেকে গ্যাস লিক করা শুরু হয়। সে সময় কারখানায় ছিলেন শুধু নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই গ্যাস লিক হওয়ায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন তাঁরা। ফলে তখন উদ্ধার কার্যের জন্য খবর দেওয়া সম্ভব হয়নি। এর পর গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে থাকে লোকালয়ে। সাড়ে চারটের দিকে আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের চোখ জ্বালা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হতে থাকে। যার জেরে ঘুম ভেঙে যায় অনেকের। খবর যায় পুলিশে। জরুরি ভিত্তিতে র কার্যে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিশাখাপত্তনমের অদূরে গোপালপত্তনমে ‘এলজি পলিমার্স ইন্ডিয়া’ নামের একটি সংস্থার রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হতে শুরু করে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
বিষাক্ত গ্যাসের কবলে বিশাখাপত্তনম, মৃত্যুরে কোলে ঢলে পড়ছে মানুষ, অসুস্থ কয়েক হাজার, মরেছে গবাদি পশু, ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি-কে স্মরণ করাল বিশাখাপত্তনম।