সংক্ষিপ্ত
সোমবার এই মামলার শুনানি হয় বারাণসী আদালতের অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশের এজলাসে। এদিন একই সঙ্গে তিনটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা। জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের মূল বিষয় হল- হিন্দু পক্ষের দাবি। হিন্দুদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই মসজিদটি ১৬ শতকে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার আগে এখানে একটি মন্দির ছিল।
শুক্রবার জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানির সময় সেই মামলা বারাণসী আদালতে স্থানান্তরিত করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি হয় বারাণসী আদালতের অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশের এজলাসে। এদিন একই সঙ্গে তিনটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা। জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের মূল বিষয় হল- হিন্দু পক্ষের দাবি। হিন্দুদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই মসজিদটি ১৬ শতকে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার আগে এখানে একটি মন্দির ছিল। সেই মন্দির ভেঙেই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। পাল্টা মুসলিম পক্ষের দাবি হল ভারতীয় সংবিধানে উপাসনা স্থান সংক্রান্ত বিশেষ বিধান। এই আইনের উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আর তৈরি হওয়া উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্র অক্ষুন্ন রাখতে হবে। তাতেই মসজিদে হস্তক্ষেপে বাধা দিচ্ছে মুসলিম পক্ষ।
সোমবার যে তিনটি পিটিশনের শুনানি হওয়ার কথা সেগুলির মধ্যে দুটি হিন্দু পক্ষের । একটি মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে।
হিন্দুপক্ষের আর্জিগুলি হল-
১. জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্সে শ্রিংগার গৌরির প্রতিদিনের পুজোর অনুমতি।
২. জ্ঞানবাপী সমজিদের ওয়াজুখানায় পাওয়া শিবলিঙ্গের পুজোর অনুমতি
৩. শিবলিঙ্গের নিচে ঘরের দিকে যাওয়ার পথের ধ্বংসাবশেষের অপসারণ।
৪. শিবলিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ জানতি সমীক্ষা।
৫. বিকল্প ওয়াজুখানার ব্যবস্থা করা ।
অন্যদিকে মসজিদ কমিটির পিটিশনে উল্লেখ রয়েছে এই বিষয়গুলিঃ
১. ওয়াজুখানা সিল করা যাবে না।
২. জ্ঞানবাপী সমীক্ষা বিবেচনা করতে হবে। উপাসনার স্থান আইন ১৯৯১ সালের রেফারেন্স সহ মামলা দায়ের।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামা-
বারাণসী জেলা আদালতকে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানি শেষ করার জন্য ৮ সপ্তাহের সমসসীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরই মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশে আগেই আদেশ দিয়েছেন, সোমবার শুনানির সময় মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের আদালতে উপস্থিত থাকতে হবেয আদালতের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
জ্ঞানবাপী মামলা- ১৯৯১ সালে বারাণসী আদালতে দায়ের করা একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল ১৬ শতকের কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে তৎকালীন মোঘল সম্রাট ওরঙ্গজেবের নির্দেশে জ্ঞানবাপী সমজিদ তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারণ দেখিয়ে আবেদনকারী স্থানীয় পুরোহিতরা জ্ঞানবাপী মসজিদে নতুন করে প্রার্থনা করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। ২০১৯ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মামলার পাশাপাশি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সমীক্ষার ওপরেও স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। গতমাসে বারাণসীর জেলা আদালতে স্থানীয় পাঁচ মহিলা দ্বারস্থ হয়। পশ্চিম দেওয়ালের পিছনে উপাসনা করতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করে। তারপই জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের একটি ভিডিওগ্রাফির সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
এবার কী খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হবে কুতুব মিনারে, জানুন কী বলল কেন্দ্রীয় সরকার
জ্বালানি তেলের দাম কমাতে বড় ঘোষণা নির্মলার, রাজ্যগুলিকেও মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে আর্জি
আজ রাত ৮টা ৩৯ মিনিটে শুক্রের রাশি পরিবর্তন, জানুন কী প্রভাব পড়বে আপনার জীবনে