সংক্ষিপ্ত
- এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অসমের ১৯ লক্ষ মানুষ
- তালিকা প্রকাশের আগেই বাদ পড়ার গুজব শুনে কুয়োয় ঝাঁপ মারেন এক প্রৌঢ়া
- তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি
- এদিকে তালিকায় এখনও যে ভুল রয়েছে তা কীভাবে সংশোধন হবে তাই নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন বাসিন্দারা
এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে অসমের ১৯ লক্ষ নাগরিকত্বের আবেদনকারী। আর এর মধ্যেই মর্মান্তিক এক ঘটনা ঘটে গেল উত্তর অসমের সোনিতপুর জেলায়। তালিকায় নাম না থাকার গুজব শুনেই এদিন সকালে তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগেই কুয়োয় ঝাঁপ মারলেন এক ৬০ বছরের পৌঢ়া।
শনিহবার সকাল ১০টায় প্রকাশ করা হয় অসম এনআরসির চুড়ান্ত তালিকা। কিন্তু তার আগেই সায়রা বেগমের কানে আসে তাঁর নাম নেই তালিকায়। আর তা শুনেই ভিটে ছাড়া হওয়ার আতঙ্কে বাড়ির কু.য়োতেই ঝাঁপ মারেন তিনি। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে কুয়ো থেকে টেনে তুলে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়।
এইরকম বিভিন্ন গুজব রটছে এনআরসি-উত্তর অসমে। শুধু তাই নয়, এনআরসি-র চুড়ান্ত তালিকার পরও রয়ে গিয়েছে অসংখ্য ভুল ত্রুটি। আর তাতেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় অসমবাসী। বিনা কারণে এনআরসি তালিকায় নাম নেইদের তালিকায় আট থেকে আশি সবাই রয়েছেন।
৪৭ বছরের কৃষক মিজানুর রহমানের যেমন নিজের ও এক ছেলে ও দুই মেয়ের নাম রয়েছে তালিকায়। কিন্তু তাঁর স্ত্রী ও তিন কন্যার নাম নেই। আবার ৪২ বছরের দিপালী দাসের নিজের নাম, স্বামী ও তাঁদের বিবাহিত কন্য়ার নাম থাকলেও তালিকায় নেই তাদের ২৩ বছরের ছেলের। ৭০ বছরের বিনয় ভূষণ সরকারের নাম ছিল অনলাইন তালিকা.য়। কিন্তু চুড়ান্ত তালিকায় নিজের নাম খুঁজে পাননি এই বৃদ্ধ।
সরকার থেকে বলা হয়েছে, বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও যাদের নাম বাদ গিয়েছে তারা ১২০ দিনের মধ্য়ে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারেন। কিন্তু গোটা অসমই আপাতত এই অসম তালিকা নিয়ে হতবম্ভ। ঠিক কী করা উচিত তাই নিয়ে ধন্দে রয়েছেন বাসিন্দারা।