সংক্ষিপ্ত

  • শাহিনবাগ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
  • দিল্লি পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও দিল্লি সরকারকে নোটিস
  • অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা অবরোধ নিয়ে প্রশ্ন
  • মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ ফেব্রুয়ারি

গত বছর ডিসেম্বরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আসে কেন্দ্র। তারপর থেকেই পুরনো দিল্লির শাহিনবাগে পথ আটকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছেন আন্দোলনকারীর। কিন্তু শাহিনবাগে এভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা অবরোধ করে রাখা যাবে না। সোমবার এমনই পর্যবেক্ষণ করল দেশের শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি সরকার ও দিল্লি পুলিশ নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। 

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শাহিনবাগে যে বিক্ষোভ চলছে, তার যুক্তিসঙ্গতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল হয়েছিল জানুয়ারির শেষের দিকে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি থাকলেও দিল্লির ভোটের কারণে তা পিছিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। সোমবার সেই শুনানিতেই সর্বোচ্চ আদালতের পজ্ঞযবেক্ষণ ছিল, "জনগণের রাস্তা আটকে দিনের পর দিন বিক্ষোভ চলতে পারে না।"  শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে, " কী ভাবে শহরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে?"

আরও পড়ুন: রাজধানীতে মহিলা কলেজে মদ্যপ বহিরাগতদের দাপাদাপি, পুলিশের সামনেই চলল শ্লীলতাহানি

এই  মামলায় আদালতের তরফে  এদিন জানানো হয়, জনগণের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অন্যের অসুবিধা যেন না হয়। শাহিনবাগ মামলার শুনানি শেষে আদালত নোটিস পাঠায় দিল্লি পুলিশ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও দিল্লি সরকারকে। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে, “কী ভাবে এটা দিনের পর দিন চলছে?” মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে  আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি। 

শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভের জেরে স্থানীয় বাসিন্দা, এলাকাবাসীদের সমস্যা হচ্ছে বলে আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী অমিত সাহিনি ও বিজেপি নেতা নন্দ কিশোর গর্গ। এই আবেদন জানিয়ে আগে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত ১৪ জানুয়ারি এ মামলায় কোনও রায় দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনস্বার্থের দিকটি যেমন পুলিশকে বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত, তেমনই আইনশৃঙ্খলার উপরও নজর দিতে বলে। পরবর্তী সময়ে মামলাটি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। 

আরও পড়ুন: 'চলে যান পাকিস্তান', সিএএ-এর প্রতিবাদ নিয়ে এবার কবিকন্যাকে হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের

গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে সিএএ ও প্রস্তাবিত এনআরসি-এর প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান আন্দোলন চালাচ্ছেন কয়েক হাজার মহিলা। ইতিমধ্যেই শাহিনবাগ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে দিল্লির রাজনীতিতে। বিরোধী দলগুলি যখন এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে, তখন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রী এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন।  এই পরিস্থিতিতে দিল্লির ভোট মিটে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।