সংক্ষিপ্ত
অমরিন্দর সিং বলেন গুরু নানক জয়ন্তীর মতো শুভদিনে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের দিকনির্দেশ করে। তিনি আশাবাদী যে কৃযকদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র সরকার।
শুক্রবার সকালেই বিতর্কিত তিনটি কৃষি বিল বাতিলের (Repealing Farm Laws) ঘোষণার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত প্রশংসার যোগ্য। টুইট করে এদিন অমরিন্দর বলেন এই সিদ্ধান্ত সত্যিই সুখবর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ।
এদিন অমরিন্দর সিং বলেন গুরু নানক জয়ন্তীর মতো শুভদিনে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের দিকনির্দেশ করে। তিনি আশাবাদী যে কৃযকদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র সরকার। সূত্রের খবর আগামী বছরেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধীদের অভিযোগ সেদিকে নজর দিয়েই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। পঞ্জাবে বেশ নড়বড়ে জায়গায় রয়েছে বিজেপি। একদিকে হাত ছেড়ে গিয়েছে আগের শরিক দল শিরোমণি অকালি দল। ইস্যু ছিল সেই কৃষি বিল ও কৃষক আন্দোলন।
এরপর যতগুলি নির্বাচন ও উপনির্বাচন হয়েছে পঞ্জাবে, সবগুলিতেই উড়েছে কংগ্রেসের পতাকা। এর মধ্যে যদিও আশার আলো দেখাচ্ছেন অমরিন্দর সিং। প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার ভিত্তি বেশ প্রশস্ত রাজ্য জুড়ে। তারই মধ্যে কংগ্রেস শিবির ছেড়ে নতুন দলের ঘোষণা করেছেন অমরিন্দর। এরই সঙ্গে ঘোষণা করেছেন তাঁর নতুন দল বিজেপিকেই সমর্থন করবে, যদিও পঞ্জাবের ১১৭টি আসনেই প্রার্থী দেবে তাঁর দল।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কৃষি বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অমরিন্দরের ধন্যবাদ জ্ঞাপন বিজেপিকে কিছুটা মাটি পঞ্জাবে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল, অমরিন্দর সিং নতুন দলের সূচনা করলে, তাতে সমর্থনই জানাবে বিজেপি। পরে অমরিন্দর সিংও জানান, কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে যে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার সমাধান হলে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধতে পারেন তিনি। গত মাসেই তিনি টুইট করে বলেছিলেন, “যদি কৃষক আন্দোলন নিয়ে কৃষকদের স্বার্থে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আসন নিয়ে বিজেপির সঙ্গে রফা করা হতে পারে।”
এদিকে, শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানাতেই দেশজুড়ে অভিনন্দনের বান ডাকে। কংগ্রেস রাহুল গান্ধী, এএপি নেতা সঞ্জয় সিং, আরজেডি নেতা মনোজ সিনহা এবং আরও অনেক বিরোধী নেতা কেন্দ্রের সমালোচনা করেন ও কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র এবং কিষাণ আন্দোলনের জয় বলে অভিহিত করেন।
শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী বলেন ঘরে ফিরে যান বিক্ষোভরত কৃষকরা। কৃষি আইন বাতিল করবে কেন্দ্র। মোদী বলেন কেন্দ্র সরকার কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বিক্ষোভ থামানো হোক। ঘরে ফিরে যান প্রত্যেক কৃষক। এদিন মোদী আশ্বাস দিয়েছেন তিনটি কৃষি আইনই বাতিল করবে কেন্দ্র।