সংক্ষিপ্ত

নির্বাচন কমিশনও অনেক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে। একই সঙ্গে অনেকের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। কমিশন খুঁজে পেয়েছে যেখানে কিছু দল কোনো অনুদান দেয়নি। অথচ তার অ্যাকাউন্ট অডিট দেখাচ্ছে বড়সড় মাপের নগদ লেনদেন হয়েছে।

রাজনীতিতে কালো টাকা রুখতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার রাজনৈতিক দলকে নগদ অনুদান নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রেখেছেন। এই মর্মে আইন মন্ত্রকের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি যে নগদ অনুদান ২০ শতাংশ বা সর্বাধিক ২০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা উচিত।

নির্বাচন কমিশন চিঠিতে আরও বলেছে যে রাজনৈতিক দলগুলিকে নগদ পরিমাণ দুই হাজার টাকার কম নিতে হবে। বর্তমানে, রাজনৈতিক দলগুলিকে একটি ডোনেশন রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে হয়। সেখানে কুড়ি হাজার টাকার ওপরে সমস্ত অনুদান প্রকাশ করতে হয়। 

অনেক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

উল্লেখ্য, আগে কয়েকশো অস্বীকৃত রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দলের উপর আয়কর অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। দলের ছদ্মবেশে শুধু কালো টাকা সাদা করার খেলায় তারা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে ওই দলগুলোর বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনও অনেক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছে। একই সঙ্গে অনেকের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। কমিশন খুঁজে পেয়েছে যেখানে কিছু দল কোনো অনুদান দেয়নি। অথচ তার অ্যাকাউন্ট অডিট দেখাচ্ছে বড়সড় মাপের নগদ লেনদেন হয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ইন্ডিপেনডেন্ট  প্রার্থীদের ব্যয়ের স্বচ্ছতা আনতে এবং এই ব্যয়ের ‘ডাইভারশন’ দূর করতে কমিশন জোর দিয়েছে।

বর্তমান নিয়ম কি বলে?
বর্তমানে জারি করা নিয়ম অনুসারে, রাজনৈতিক দলগুলিকে কুড়ি হাজার টাকার উপরে সমস্ত অনুদান প্রকাশ করতে হবে এবং কমিশনে রিপোর্ট করতে হবে। সূত্র জানায়, কমিশনের এই প্রস্তাব যদি আইন মন্ত্রকের অনুমোদন পায়, তাহলে দুই হাজার টাকার ওপরে সব অনুদান রাজনৈতিক দলগুলোকে জানাতে হবে, এতে স্বচ্ছতা বাড়বে। কমিশন আরও সুপারিশ করেছে যে কোনও রাজনৈতিক দলের পাওয়া মোট অনুদানের সর্বাধিক ২০ শতাংশ নগদ বা ২০ কোটি টাকা হওয়া উচিত। 

নির্বাচন কমিশন আরও চায়, নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা নির্বাচনের জন্য একটি পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নেবেন এবং এই অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত লেনদেন করতে হবে এবং নির্বাচনী ব্যয়ের বিবরণেও এই তথ্য দিতে হবে।