সংক্ষিপ্ত

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'আমরা সিবিআইকে ২০(৩-এ) ধারার অধীনে অভিযোগের সমস্ত দিক নিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দিচ্ছি।'

 

আরও বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। এবার সিবিআই টাকার বিনিময় প্রশ্নের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এবার এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। দুর্নীতি বিরোধী ন্যায়পাল লোকপালের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই। মৈত্রার বিরুদ্ধে বিজেপি লোকসভা সদস্য নিশিকান্ত দুবের করা অভিযোগের বিষয়ে সংস্থার প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল পাওয়ার পরে লোকপাল সিবিআইকে নির্দেশ জারি করেছে।

আগেই মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'আমরা সিবিআইকে ২০(৩-এ) ধারার অধীনে অভিযোগের সমস্ত দিক নিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দিচ্ছি।' একই সঙ্গে ৬ মাসের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল, দর্শন হিরনন্দানির থেকে টাকা নিয়ে মহুয়া মৈত্র সাংসদে একের পর এক প্রশ্ন করেছিলেন। সংসদীয় অ্য়াকাউন্টের লগইন আইডি আর পাশওয়ার্ডও শেয়ার করেছিলেন বলে অভিযোগ। যা দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে মহুয়া-সহ বিরোধী সাংসদদের অভিযোগ মহুয়া সংসদে ক্রমাগত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আদানি ইস্যুতে আক্রমণ করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে হেনস্থা করছে বিজেপি। মহুয়ার মুখ বন্ধ করতে চাইছে বিজেপি।

কাকতালীয় হলেও এদিনই গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। একই দিনে সামনে আসে। এমনিকেই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পরই রাজ্যের বিজেপি নেতারা নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। বিজেপি নেতা সুকান্ত বলেন, 'যতই করো কান্নাকাটি, মাফলারের পরে হাওয়াই চটি'। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মাফলার ম্যান বলা হত একটা সময়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদাই হাওয়াচটি পরেন। তাই নিয়েই কটাক্ষ করেছেন তিনি।