সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, সাধারণনতন্ত্র দিবসে চিনা সেনা ভারতীয় সেনা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছে। সেই সময়ই চিনের তরফ থেকে ইতিবাদক সাড়া দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন অরুণাচলের তরুণের মুক্তি আটকে রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার খারাপ আবহাওয়ার জন্য। তবে তরুণকে খুব তাড়াতাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অরুণাচল প্রদেশ (Arunachla Pradesh) থেকে নিখোঁজ (Msssiing )হয়ে যাওয়া ভারতীয় তরুণকে (Indian Youth ) মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে একটি ইঙ্গিত দিয়েছে চিন (China)। প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) তেমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণরিজিজু (Kiran Rijiju)। তিনি বলেছেন, এদিন চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মি (PLA) ভারতীয় সেনা বাহিনীর (Indian Army) সঙ্গে হটলাইনে কথা বলেছে। কোথায় ও কবে অরুণাচলের তরুণকে মুক্তি দেওয়া হবে সেসম্পর্কে খুব তাড়াতাড়ি চিন বিস্তারিত জানাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, সাধারণনতন্ত্র দিবসে চিনা সেনা ভারতীয় সেনা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছে। সেই সময়ই চিনের তরফ থেকে ইতিবাদক সাড়া দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন অরুণাচলের তরুণের মুক্তি আটকে রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার খারাপ আবহাওয়ার জন্য। তবে তরুণকে খুব তাড়াতাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে ভারতের মূলভূখণ্ড থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল অরুণাচলের এক তরুণ। তারপরই জানা গিয়েছিলেন সেই তরুণ রয়েছে চিন সীমান্তের ওপারে। তারপর থেকেই তরুণকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা শুরু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন প্রথম থেকেই গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিন তরুণকে দ্রুত দেশে পাঠাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন, অরুণাচলের তরুণ সম্পর্কে কোনও তথ্য বা বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় না দিতে। পাশাপাশি তরুণ সম্পর্কত বিবৃতি দেওয়ার সময়ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর মতে এই সব জায়গায় বিরূপ কোনও মন্তব্য করলে হস্তান্তর প্রক্রিয়া বাধা পেতে পারে। তাই তিনি স্থানীয়বাসিন্দাদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
অরুণাচলের তরুণের নাম মিরাম তারন। তিনি আপার সিয়াং জেলার জিদো গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৮ জানুয়ারি ২০২২ সালে বিশিং এলাকার সিয়াংর কাছ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। প্রথামিকভাব মনে করা হয় চিনা সেনারা তাঁকে অপরহরণ করেছিল। ভারত ও চিনের মধ্যবর্তী সিয়াং নদীর কাছ থেকেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অরুণাচলে সিয়াংকে অসমে ব্রহ্মপুত্র বলা হয়। ২০২০ সালের সেপটম্বরে পিএলএ অরুণাচল প্রদেশ থেকে পাঁচ তরুণকে আটক করেছিব। আটক করার এক সপ্তাহ পরেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও চিন কী কারণে ভারতীয় তরুণদের আটকে রেখেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
লাদাখ ও অরুণাচলে চিনা সেনার আদ্রাসন বাড়ছে। যা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে ভারতে। লাখাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে এক বছরেরও বেশি নয় ধরে ভারত ও চিনের মধ্য সমস্যা রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুই দেশএর মধ্যে এশ দফায় দফায় বৈঠকও চলছে। অন্যদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় দুই দেশের সেনা বাহিনী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে।
Padma Award: পদ্মবিভূষণ সম্মান বিপিন রাওয়াতকে, করোনা টিকা তৈরি করে পদ্ম সম্মানের তালিকায় পুনাওয়ালা
FIR Against Amazon: জাতীয় পাতাকার অবমাননা, অ্যামাজনের বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ