সংক্ষিপ্ত
সনিয়া গান্ধী এদিন বলেন, দলের স্বার্থে কংগ্রসের নেতা ও কর্মীদের আরও বড় সংকল্প নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন দলের স্বার্থে তাঁর যা করার প্রয়োজন তা তিনি করবেন।
দলের সর্ব স্তরের ঐক্যের ওপর জোর দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠকে সনিয়া গান্ধী বলেন, সম্প্রতি দলের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, দলকে কী ভাবে চাঙ্গা করতে হবে সেই বিষয়ে তিনি পরামর্শ পেয়েছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলে দলের নেতা কর্মীরা কতটা হতাশ তা তিনি জানেন। কিন্তু এই হতাশা কাটিয়ে উঠে নতুন ভাবে শুরু করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই বৈঠকে তিনি গান্ধী পরিবারের বিরোধীদেরও একসঙ্গে লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন।
সনিয়া গান্ধী এদিন বলেন, দলের স্বার্থে কংগ্রসের নেতা ও কর্মীদের আরও বড় সংকল্প নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন দলের স্বার্থে তাঁর যা করার প্রয়োজন তা তিনি করবেন। কংগ্রেস এখনও দেশের একটি বড় পার্টি। তাই দলের স্বার্থ দলের কর্মীদেরই অক্ষুন্ন রাখতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের সংবেদনশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত ক্ষোভ, অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে একসঙ্গে লড়াই করার কথাও বলেন।
গতমাসেই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনে ধরায়াসী হয়েছিল কংগ্রেস। তারপর কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে ছিলেন সনিয়া গান্ধী। সেই বৈঠকে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী G-23-র নেতারা গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁরা পদে না থেকে রাহুল গান্ধীর কৃতৃত্বে বেজায় চটেছেন বলেও জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি কংগ্রেসের নির্বাচন এগিয়ে আনারও দাবি ছিল তাঁদের। সেই বৈঠকে সনিয়া গান্ধী বলেছিলেন দলের উন্নয়নের রোডম্যাপও তিনি দলের প্রথম সারির নেতাদের তৈরি করতে বলেছেন।
সেইমত সনিয়া গান্ধী বলেছিলেন কংগ্রেসের নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসা হবে। কংগ্রেসের জন্য একজন পূর্ণ সময়ের সভাপতিও নিযুক্ত করা হবে। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরই বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর বেশ কয়েক জন নেতা কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। তাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে দলীয় বিষয়ে আলোচনার জন্যই তাঁরা সনিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও তারপর অবশ্য বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করেননি। তবে সম্প্রতি কংগ্রেস দেশব্যাপী মূল্যবৃদ্ধি ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে যে আন্দোলন করেছিল তাতে যথেষ্টই সাড়া পেয়েছে বলেও দলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।