সংক্ষিপ্ত
প্রাথমিকভাবে জানা যায় মোট তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এবার এই তথ্যকে খারিজ করল রেল। রবিবার এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয় রেলের তরফে।
'তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে একথা ভুল'', করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলল রেল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে রেলের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ার তথ্য ভুল। শুধুমাত্র করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। শুক্রবার বিকেলে একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। প্রাথমিকভাবে জানা যায় মোট তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এবার এই তথ্যকে খারিজ করল রেল। রবিবার এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয় রেলের তরফে।
রবিবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্য খুলল রেল। সাংবাদিক বৈঠকে এদিন জয়া বর্মা সিনহা, রেলওয়ে বোর্ডের অপারেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সদস্য জানিয়েছেন যে, প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর জানা গেছে, সিগন্যালিং নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছিল। আমরা এখনও রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনারের বিশদ প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি। শুধুমাত্র করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল। ট্রেনটির গতিবেগ ছিল প্রায় ১২৮ কিমি/ঘন্টা।
অন্যদিকে শনিবার দিনভর ঘটনাস্থলেই দেখা গিয়েছে অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। সেখানেই একাধিকবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ঠিক কী কারণে ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন,'দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখবেন। কে বা কারা এর জন্য দায়ী তাও জানা গিয়েছে।' তিনি আরও বলেন,'ইলেকট্রনিং ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত আমাদের প্রথম কাজ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা।'
দুর্ঘটনার জেরে উপড়ে গিয়েছে বালেশ্বর রুটের বাহানাগা স্টেশনের কাছের রেললাইন। ছাড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ট্রেনের বগির ভাঙা অংশ। দুর্ঘটনার জেরে প্রচুর ট্রেন বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরাও। এই পরিস্থিতিতে যত তারাতারি সম্ভব ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় ততই মঙ্গল। তবে কবে থেকে আবার স্বাভাবিক হবে পরিষেবা? শনিবার অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী। শনিবার রাতে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন,'উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজ রাত থেকেই রেললাইন পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করে দেওয়া হচ্ছে। রবিবার সকাল থেকে লাইন পরিষ্কার, লাইন পুনর্নির্মাণ এবং ওভারহেড তারে বিদ্যুতের কাজ চলবে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হবে সিগন্যালিং সিস্টেম পুনরুদ্ধারের কাজ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করা করা হচ্ছে সমস্ত কাজ।'