জেলা শাসক নিজে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ গণনার তথ্য পরীক্ষা করে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ওড়িশার বালেশ্বর। এই শহরের বাহাঙ্গা বাজারের কাছে একের পর এক ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয়েছে পর পর ৩টি ট্রেন। শুক্রবার রাত থেকেই এলাকা জুড়ে মৃতদেহের স্তূপ। স্থানীয় মানুষরাই সর্বাগ্রে হাত লাগিয়েছেন উদ্ধারের কাজে। তারপর ছুটে এসেছে বহু মেডিকেল টিম, রেল পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা। কাটা দেহাংশ উদ্ধার করে মৃতদেহের সঙ্গে একই গাড়িতে স্তূপাকার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় স্কুলে। প্রায় ২ দিন পেরিয়ে গেলেও আহতদের আর্তনাদে ওড়িশার অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল জুড়ে শোকের ছায়া। এরই মধ্যে একেকটি সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে একেকটি সংখ্যার মৃতের হিসেব।

কোনও সূত্র জানাচ্ছে যে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে প্রায় ৩০০। স্থানীয় মানুষরা দাবি করছেন, মোট ২০টি বগি উলটে যাওয়ায় যত মানুষ মারা গিয়েছেন, সেই সংখ্যা মোটেই পাঁচশোর কম নয়। তাহলে সত্যি সত্যি মোট কত মানুষ মারা গিয়েছেন করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায়? সেই সংখ্যাটিই এবার স্পষ্ট করলেন ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা

রবিবার সকালে সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রদীপ জেনা দাবি করেছেন যে, নিহতদের আসল সংখ্যাটি মোটেই ২৮৮ নয়। এটি আসলে ২৭৫। মোট ২৭৫ জন মানুষ মারা গিয়েছেন। তাহলে এর আগে এতও বেশি মানুষের হিসেব আসছিল কেন? এই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব বলেন যে, কিছু কিছু মৃতদেহকে দু’বার করে গোনা হয়েছিল। এই কারণে মৃতদেহের সংখ্যা বেশি বলে মনে হয়েছিল। এরপর জেলা শাসক নিজে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ গণনার তথ্য পরীক্ষা করে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ২৭৫ জন মানুষ এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এই দুশো পঁচাত্তরের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের মৃতদেহই এখনও শনাক্ত করা যায়নি। মাত্র ৮৮ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।

Scroll to load tweet…


আরও পড়ুন-

রাজনৈতিক মদতের অভিযোগ তুলে কুস্তিগিরদের আন্দোলনের বিপরীতে ব্রিজভূষণ সিং-এর মিছিল
‘হ্যাপি বার্থডে, জিলি’: গোলাপ দিয়ে জিল-কে প্রেম নিবেদন করলেন জো বাইডেন

Manoj Bajpayee: জীবনের প্রথম সিনেমাতেই রাতের অন্ধকারে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন মনোজ বাজপেয়ী