সংক্ষিপ্ত
দেশে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংখ্যা বেড়ে গেলেও ডেল্টা নিয়েই আপাতত চিন্তায় কেন্দ্র। পরিসংখ্যান দিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিতে চাইল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক।
দেশে কোভিডের (Covid-19 ) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের (Omicron)সংখ্যা বেড়ে গেলেও ডেল্টা নিয়েই আপাতত চিন্তায় কেন্দ্র। পরিসংখ্যান দিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিতে চাইল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। দেশে মোট ওমিক্রন সাড়ে তিনশো পার করলেও এখনও ডেলটায় নজর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। গত ৭ আগে ওমিক্রনের সংখ্যা যেখানে ছিল ১০০। মুহূর্তেই তা ২০০ ছুয়ে ফেলে মঙ্গলবারে। তারপর তা সাড়ে তিনশো ছাড়ালেও কেন্দ্রের মধ্যমণিও এখনও ডেলটা (Delta)।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, দেশের এখনও অধিকাংশ রোগী ডেলটা ভাইরাসে আক্রান্ত। ডেল্টার জায়গা এখনও নিতে পারেনি ওমিক্রন। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৮জন। এদের মধ্যে ১১৪ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ওমিক্রনে আক্রান্ত এখনও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৪৪ জন। তবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী মহারাষ্ট্রে। এরপর দিল্লিতে ৬৭ জন এবং তেলেঙ্গানায় ৩৮ জন। তামিলনাড়ুতে ৩৪ জন এবং কর্ণাটকে ৩১ জন। এর পাশপাশি গুরাটে ৩০ কেরলে ২৭ এবং রাজস্থানে ২২ জন। হরিয়ানা, উড়িশ্যা, জম্মু-কাশ্মীর, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশে ১ থেকে ৪ জন করে সক্রিয় রোগী রয়েছে।
যদিও কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে কেন্দ্র প্রাধান্য না দিলেও সতর্ক সব রাজ্যেরই সরকার। তাই ওমিক্রনের জেরে কোভিড বিধিতে আরও কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্য়ের সরকার। নির্ধারিত স্থানে গেলে লাগবে কোভিডের ডবল ডোজ। সেই ডবল ডোজের প্রমাণ দেখালেই তবে মিলবে প্রবেশ অধিকার। তবে বর্ষবরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠান করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হোটেল, ক্লাব, রেস্তোরা, পার্কগুলিতে বর্ষবরণ উপলক্ষে কোনওরকম উদযাপন করা যাবে না। গুজরাটের আহমেদাবাদ, ভাবনগর, ভদোদরা, সুরাট,রাজকোট, জামনগর, গান্ধীনগর এবং জুানাগড় শহরে ২৫ ডিসেম্বর থেকে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে। একই পথে নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকারও। তবে শুধু ব্যাতিক্রমী পশ্চিমবঙ্গ।
তবে উদ্বেগের বিষয় হল, শুক্রবার সকালেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের তরফে দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ১২২ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে সেই সংখ্যারই আবার এক তৃতীয়াংশ বেড়ে গিয়েছে। যদিও এতকিছু পরেও ডেলটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে কেন্দ্র। এই কারনের কোভিড বিধি মেনে চলা এবং টিকাকরণের উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।