ঘূর্ণিঝড়় আমফানের আঘাতে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, ক্ষতির অঙ্ক লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, পুরোপুরি বিধ্বস্ত সুন্দরবন, খোলা আকাশের নিচে কয়েক লক্ষ মানুষ, এহেন পরিস্থিতি আর্থিক সাহায্যের আর্জি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসছে রাজ্য।
Aftershok Amphan Live- ধ্বংসের স্তূপে কলকাতা-সহ ৪ জেলা, ঝড়ের আঘাতে ১৩ জনের মৃত্যু
মুদ্রতট থেকে দূরত্ব ক্রমশই কমছিল, অবশেষে স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করল আমফান। ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়ে গিয়েছে দিঘায়। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতুলিতে ভেঙে পড়েছে নদীবাঁধ। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন এক লক্ষেরও বেশি মানুষ।
- FB
- TW
- Linkdin
অভূতপূর্ব ঝড় আমফান কলকাতা তথা বাংলার একটি বড় অংশে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সব ধরণের সাহায্য চাইলেন কংগ্রেস-এর পরিষদীয় দল নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
কলকাতার বহু জায়গাতেই বুধবার ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদ্যুত সংযোগ নেই। বেশি রাতে কয়েক জায়গায় বিদ্যুত ফিরে এলেও এখনও অন্ধকারে বিস্তৃর্ণ অঞ্চল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, একমাত্র যেখানে যেখানে মানুষ আটকে পড়েছেন এবং বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বিপদেরস সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেই সব ক্ষেত্র ছাড়া, বিদ্যুত সংয়োগ বা রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজ বুধবার রাতে করা হবে না। বৃহস্পিবার সকালেই সেই কাজে হাত দেওয়া হবে। কারণ, ঝড়ের বিপদ এখনও পুরোপুরি কাটেনি।
ঝড়ের তীব্রতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছনোর আগেই হাওড়ায় একটি স্কুলের টিনের চাল পোস্টকার্ডের মতো উড়ে গিয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের ধ্বংসের মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে ৩৯টি টি স্ব -নির্ভর উদ্ধার ও ত্রাণ সংক্রান্ত দল মোতায়েন করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
এদিন সন্ধ্যায় নবান্নর কন্ট্রোল রুম থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ জাতীয় ধ্বংসাত্মক ঝড় বাংলায় শেষ সংঘটিত হয়েছিল ১৭৩৭ সালে।
দিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় আমফান কলকাতায় প্রবেশ করে। কলকাতা সর্বোচ্চ ১১৩ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিককালে কলকাতায় এমন তীব্র গতির ঝড় দেখা যায়নি।
আমফান স্থলভাগে প্রবেশ করার পরই দিঘা ও ওড়িশা সীমান্তের মধ্যবর্তী রাস্তায় উপরে গিয়েছিল বহু বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ। রাতেই সেইসব পরিষ্কার করার কাজে লেগে পড়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমফানের দাপটে একেবারে তছনছ হয়ে গেল কলকাতা। শহরের বহু জায়গায় গাছ পড়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপরে গিয়েছে, জল জমে রয়েছে। বহু বাড়িরও ক্ষতি হয়েছে।
কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে আমফান। আর এক ঘণ্টা পরই আমফান কলকাতায় আছড়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গাতে গাছ ভেঙে পড়েছে। জল জমেছে বেশ কিছু এলাকাতে। বর্তমানে ঝড়ের দাপট ১০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের দাপটে জানপ্রাণ বাঁচাতে আজ, বুধবার দুপুর থেকে কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী জেলার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নিজের বাড়িঘর মজবুত না-হলে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে প্রত্যেককে দুই দিনের জন্য সরকারি শিবিরে আশ্রয় নিতেও অনুরোধ করেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বুধবার, ঝড়ের রাতে তিনি নিজে নবান্নে উপস্থিত থাকবেন। উল্লেখ্য়, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজ্যে সরানো হল ৪ লক্ষাধিক মানুষকে।
বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যের ৬টা মধ্যেই স্থলভাগে প্রবেশ করবে আমফান। দিঘা থেকে মাত্র ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
ঘুর্ণিঝড় আমফানের প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে গোসাবা, কাকদ্বীপ-সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রবল হাওয়া বইছে, সঙ্গে বৃষ্টি। হাওয়ার দাপটে উড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ির চাল।
ঘূর্ণীঝড় আমফানে জরুরী নাম্বার গুলি হল-
বিপর্যয় মোকাবিলা- ১০৭০
দমকল- ১০১
রাজ্য পুলিশ- ১০০
কলকাতা পুলিশ- ১০০, ২২১৪৩২৩০
রাজ্য পুলিশ- ০৩৩-২২১৪-৫৪১২, ০৩৩-২২১৪-৫৪১৩
কলকাতা পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর- ৯৪৩২৬২৪৩৬৫
বুধবার নবান্ন কন্ট্রোলরুমে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা থেকে মাত্র ২২০ কিসোমিটার দূরে রয়েছে আমফান। বুধবার বিলেকের মধ্যেই তা আছড়ে পড়বে স্থলভাগে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বন্ধ করা হল কলকাতার সমস্ত উড়ালপুল।